স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহলাল ও বিরাইমপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করতে এসে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে চুরি চক্রের তিন সদস্য। তারা সবাই রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের মহলাল এলাকার বাসিন্দা বলে শিকার করে।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোররাতে গ্রামের একজন মুরব্বি ফজরের নামাজের সময় দেখতে পান, গ্রামের একটি ট্রান্সফরমার খুলছে তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা তার দিকে তেড়ে আসে। মুরব্বি তখন চিৎকার করে বাড়ির সদস্য ও আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রায় এক ঘণ্টা পর চক্রটি পুনরায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গ্রামে প্রবেশ করে এবং গ্রামের প্রধান রাস্তা ব্যবহার করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মহলাল ও বিরাইমপুরে প্রবেশ ও বহির্গমনের একটিমাত্র রাস্তায় ফিরে আসতে বাধ্য হলে গ্রামবাসীর সন্দেহ বাড়ে।
সন্দেহভাজন না, ধৃত ব্যক্তিরা যে প্রকৃত ট্রান্সফরমার চোর তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। গ্রামবাসী সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে তিনজনকে আটক করে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক জনের বক্তব্য অন্যদের বক্তব্যের সঙ্গে মেলেনি। সন্দেহ প্রবল হলে তাদের আটক করা হয়।
একপর্যায়ে তাদের একজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, গ্রামবাসী ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং তাকে গণধোলাই দেয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি বরমচাল বিদ্যুৎ অফিস ও কুলাউড়া থানায় জানানো হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা এসে চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার জব্দ করে অফিসে নিয়ে যান। কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, তারা পরিকল্পিতভাবে চুরি করতে এসেছিল। থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জবানবন্দি ও প্রমাণ সংগ্রহ শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এই চুরি চক্রের অতীত রেকর্ডও ভয়াবহ।
বরমচাল চা বাগানের একজন বাসিন্দা জানান, কয়েক বছর আগে বরমচাল চা বাগানে একজনের এই চক্রের এক সদস্য দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।
এছাড়াও, ওই চক্রের একজন সদস্য পূর্বে তার প্রেমিকার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে আহত করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি বরমচাল চা বাগান থেকে চুরি হওয়া একটি ট্রান্সফরমারের সঙ্গেও এদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, ধারাবাহিকভাবে চুরি সংগঠনের মাধ্যমে এই চক্র একটি সংগঠিত অপরাধচক্রে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী বলছে, এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হতে পারে।
একজন গ্রামবাসী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ এলাকায় বাস করি। এই চোরচক্র দিনের আলোয় এসে ট্রান্সফরমার খুলছে, সেটা দেখলে সবাই আতঙ্কে থাকে। আগে থেকেই অভিযোগ ছিল, আজ হাতে-নাতে ধরা পড়ায় সব পরিষ্কার।”
এলাকাবাসী কুলাউড়া থানা ও বিদ্যুৎ বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এবং চোরচক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান।
কুলাউড়া থানার এক কর্মকর্তা জানান, “তিন আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির কথা স্বীকার করেছে। আমরা এলাকাবাসীর থেকে তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। মামলা দায়েরের পর তাদের কোর্টে পাঠানো হবে।
সম্পাদক: ময়নুল হক পবন, প্রকাশক: রিয়াজুল হক রেজা, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহাম্মদ জয়নুল হক.
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়,কামাল প্লাজা (১ম তলা), কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,ফোন: ০১৭১১-৯৮৩২৬৯
ঠিকানা: 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢 𝐈𝐧𝐯𝐞𝐬𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐩𝐚𝐫𝐤 𝐃𝐈𝐏, 𝐀𝐥 𝐁𝐚𝐲𝐚𝐧 𝐁𝐮𝐢𝐥𝐝𝐢𝐧𝐠 𝟐𝟎𝟏𝟏, 𝐏.𝐎 𝟏𝟎𝟎𝟏𝟐𝟏- 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢. সংবাদ, ছবি ও বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা: Email: kulauradorpon@gmail.com ওয়েবসাইট: www.kulaurardarpan.com,
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত