স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘদিন পর মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলো।

সোমবার ২৫ আগস্ট বিকেলে শহরের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিলকে ঘিরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে, যেখানে পৌর বিএনপির ১, ২, ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডের নেতৃত্ব গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।

কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ছিলেন- ২৮৪ জন। দীর্ঘ প্রস্তুতি ও প্রতীক্ষার পর দলীয় কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে চারটি ওয়ার্ডে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়।

১ নং ওয়ার্ড: সভাপতি মোর্শেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জারাজিস খান জুবের।

২ নং ওয়ার্ড: সভাপতি এইচ এম সফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসউদ।

৩ নং ওয়ার্ড: সভাপতি মাসুম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান ঝুনু।

৭ নং ওয়ার্ড: সভাপতি মো. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন আহমেদ।

কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এবং উদ্বোধক ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আজকের এই প্রাণবন্ত কাউন্সিল প্রমাণ করেছে, বিএনপি এখনও তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত। গণতন্ত্রের লড়াই এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তৃণমূলের ঐক্যই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতৃত্বকে মাঠে নামতে হবে। নির্বাচন নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেবো-জনগণের শক্তিই হবে আমাদের হাতিয়ার। এই ঐক্য অটুট থাকলে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করা আর কঠিন কিছু নয়।

সকল ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে আসুন সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলে বিএনপির পুনর্গঠন কার্যক্রমকে শক্তিশালী করি।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন বলেন- সুদৃঢ় ঐক্য যে কোনো যড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে। মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির এই কাউন্সিল থেকে আমরা শপথ নিচ্ছি—আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যতো ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ বিএনপি তা প্রতিহত করবে।

জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যে প্রার্থী মাঠে নামবেন, তাকে বিজয়ী করতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও নির্বাচনী প্রচারণা—সব কিছুতে।

আজ সময় এসেছে ব্যক্তিগত মতভেদ ভুলে গিয়ে কেবল দলের স্বার্থে এক কাতারে দাঁড়ানোর। এই ঐক্যই আগামী দিনের বিজয়ের চাবিকাঠি।”

কাউন্সিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, এড.সুনীল কুমার দাশ,বকসী মিছবাউর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সদস্য মো: ফখরুল ইসলাম,আবুল কালাম বেলাল,মাহমুদুর রহমান,স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন সেলিম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক চৌধুরী মামনুন, সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মমশাদ আহমদ, নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মনোয়ার আহমেদ রহমান, সরওয়ার মজুমদার ইমন ও প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন মো.সোহরাব হোসেন।