লেখক এইচ আর মুরাদ।
বরমচাল মাঠে মোটরসাইকেল এন্ড মোটরসাইকেল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা পরিচালনা করার জন্য কুলাউড়া থেকে রওয়ানা দিয়ে ফুলেরতল বাজারে গাড়ী থেকে নামতেই চোখে পড়লো একজন লোক অপলক নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন এবং মুখে আত্ম তৃপ্তির হাসি।সাথে ছিলেন ভাটেরার আরেক কৃতি ফুটবলার- বর্তমানে ফুটবল পরিচালক সেলিম আহমেদ।
আমি দৌড়ে গিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলাম প্রায় ২০ বছর পর।নুইদা বললেন আমি কিন্তু তোমাকে দেখি বিভিন্ন মাঠে কিন্তু কাছে যাইনি কারণ তুমি আমাকে চিনতে পারবে কি-না এই ভয়ে।
কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী এলাকা ভাটেরার ইনাই পুঞ্জির এই নুই খাসিয়াকে এই প্রজন্ম চিনবেনা তাই ফেইসবুকের সাহায্য নিলাম এবং চেষ্টা করলাম জানা থেকে জানাতে। নুইদা খেলেছেন কুলাউড়ার ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি খলিল ভাই-মান্না ভাই-নিজাম ভাই-মিকি ভাই-ফয়সল ভাইয়ের সাথে।স্মরণ করে বললেন কথাগুলি।
খেলেছেন মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১ম বিভাগ ফুটবল লীগে।
কি যে আকর্ষণীয় ফুটবল খেলতেন নুইদা অনেকটাই ম্যারাডোনার আদলে।নুইদার পায়ে যখন বল যেত প্রতিপক্ষের ৩/৪ জন খেলোয়াড় দৌড়ে যেত নুইদাকে আটকাতে বা উনার পা থেকে বল কেড়ে নিতে কিন্তু না কখনোই নুইদাকে পরাস্ত হতে দেখিনি। তিনি তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে বলটি ঠিকই পৌঁছে দিতেন হয় গোলবারে নতুবা স্বপক্ষে খেলোয়াড়ের কাছে।
নুইদা নিজের চেয়ে তার দলকে বেশি খেলাতে বাধ্য করতেন বলের সঠিক যোগান দিয়ে।
অসাধারণ বল কন্ট্রোলিং যাদুকরী স্কিল এবং নিখুঁত পাসিং ফুটবলের মুগ্ধতা ছড়ানো খেলা যারা দেখেছেন তারা আজও নুইদাকে স্মরণ করেন এবং মিস করেন।
আমার এই লিখনীতে নুইদাকে পুরো তুলে ধরতে পারিনি-সেটা আমারই ব্যর্থতা-তাই নুইদার কাছে এবং উনার সমর্থক বৃন্দের কাছে ক্ষমা চাইলাম।
আমি নুইদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে কুলাউড়া ফুটবলাঙ্গনে যেন নব প্রজন্ম ফুটবলাররা নুইদা হয়ে ফিরে আসুক কুলাউড়ার ফুটবলে এই দোয়াই করি। আল্লাহ হাফিজ।
সম্পাদক: ময়নুল হক পবন, প্রকাশক: রিয়াজুল হক রেজা, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহাম্মদ জয়নুল হক.
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়,কামাল প্লাজা (১ম তলা), কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,ফোন: ০১৭১১-৯৮৩২৬৯
ঠিকানা: 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢 𝐈𝐧𝐯𝐞𝐬𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐩𝐚𝐫𝐤 𝐃𝐈𝐏, 𝐀𝐥 𝐁𝐚𝐲𝐚𝐧 𝐁𝐮𝐢𝐥𝐝𝐢𝐧𝐠 𝟐𝟎𝟏𝟏, 𝐏.𝐎 𝟏𝟎𝟎𝟏𝟐𝟏- 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢. সংবাদ, ছবি ও বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা: Email: kulauradorpon@gmail.com ওয়েবসাইট: www.kulaurardarpan.com,
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত