মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী (মাসুম)
পুলিশ প্রশাসনে কুলাউড়ীয়ানদের যোগদান সর্বকালেই খুব সীমিত। অথচ আশির দশকে একই সময়ে সচিব পর্যায়ের আটজন ছিলেন কুলাউড়ার, যা ছিলো বাংলাদেশের থানা ওয়ারীদের সংখ্যায় রেকর্ড। এখনও কয়েকজন আছেন তবে যে হারে মেধাবীরা বিদেশগামী হচ্ছে তাতে অনুমান করা যায় অদুর ভবিষ্যতে এর সংখ্যা শূণ্যের কোটায় নেমে আসবে। আমাদের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সদ্য প্রয়াত মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহম্মেদ ছিলেন পুলিশের এডিশন্যাল ডি আই জি।
”বেটা কইলে মামন্দ মনসুর, আর যত পুয়া
হাওর কইলে হাকালুকী, আর যত পুয়া”
এককালীণ প্রচন্ড ক্ষমতা প্রদর্শনকারী দেওয়ান মামন্দ মনসুরের নামানুসারে মনসুর গ্রামে ১৯৭৩ সালের ২৩শে জুন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরীর জন্ম। পিতা ইলিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী ও মাতা জেবুন নাহার বেগম চৌধুরী। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানায় উনার পৈত্রিক নিবাস হলেও নানাবাড়ী কুলাউড়া থানার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে উনার জন্ম, কর্ম, লেখাপড়া বেড়ে উঠা সবই।
মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী ১৯৮৯ সালে কুলাউড়া নবীণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, ১৯৯১ সালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ঢাকা থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। তারপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
২০০১ সালের ৩১শে মে ২০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারীপুলিশ সুপার হিসেবে কর্ম জীবনের যাত্রা শুরু। ২০০৭-২০০৮ সালে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন। ২০০৯-২০১০ এবং ২০১৪-২০১৫ সালে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে পি ফউর লেভেল প্ল্যানিং অফিসার পদে যোগদান করেন। দেশে ফিরে পুলিশ সদর দপ্তরে এ আই জি (মিডিয়া), ডিসিপলেন এন্ড প্রফেশন্যাল স্ট্যান্ডার্স এবং ক্রাইম ইস্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। সর্বশেষ অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্সপেকশন) থাকাকালীন ইন্তেকাল করেন।
কর্ম জীবনে দক্ষতার স্বাক্ষর স্বরূপ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে এবং পুলিশ প্রশাসন থেকে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন সহজ সরল এবং বন্ধুভাবাপন্ন লোক। এলাকার উন্নয়নের বা মানুষের সেবা করার ইচ্ছা ছিলো। বর্তমানে উনার স্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন যুগ্ম সচিব এবং দুটো পুত্র সন্তান রয়েছে।
সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় তার অবদান রয়েছে উল্লেখ করার মতো। উনার লেখা ১। কোথায় পাবো তারে ২। নির্বাসিতা হৃদয়ে এসো ৩। ইরোটোমেনিয়া নামক গ্রন্থগুলোতে তার প্রতিভার স্বাক্ষর পাওয়া যায়। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন অনুমোদিত গীতিকার ছিলেন। কুলাউড়ার পথে প্রান্তরে. ওয়াহিদ মুরাদ
সম্পাদক: ময়নুল হক পবন, প্রকাশক: রিয়াজুল হক রেজা, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহাম্মদ জয়নুল হক.
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়,কামাল প্লাজা (১ম তলা), কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,ফোন: ০১৭১১-৯৮৩২৬৯
ঠিকানা: 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢 𝐈𝐧𝐯𝐞𝐬𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐩𝐚𝐫𝐤 𝐃𝐈𝐏, 𝐀𝐥 𝐁𝐚𝐲𝐚𝐧 𝐁𝐮𝐢𝐥𝐝𝐢𝐧𝐠 𝟐𝟎𝟏𝟏, 𝐏.𝐎 𝟏𝟎𝟎𝟏𝟐𝟏- 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢. সংবাদ, ছবি ও বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা: Email: kulauradorpon@gmail.com ওয়েবসাইট: www.kulaurardarpan.com,
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত