ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী
কানিহাটির জমিদার পরিবারে ১৯২৮ সালের ৪ জানয়ারী আবু তাহের আব্দুল মোন্তাকীম চৌধুরীর জন্ম। তিনি ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী নামেই পরিচিত। উনার পিতা "তওয়ারীখে হেলেমী" গ্রন্থের লেখক খান বাহাদুর তজমুল আলী চৌধুরী ছিলেন সিলেটের ডেপুটি কমিশনার ও হাকিম। সিলেটি মুসলমানদের মধ্যে তিনিই প্রথম ডিসি হবার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক ধাপ হাইলাকান্দিতে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক প্রখ্যাত "আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ইংল্যান্ডের লিংকনস ইনক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার এট ল পাশ করে ব্যারিস্টার হন।
ঢাকা ফিরে আইন প্রেক্টিসের মধ্যদিয়ে কর্মজীবনের শুরু। সে সময়ে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষিতের হার ছিলো খুবই কম, তার সাথে আবার ব্যারিস্টার, সোনায় সোহাগা।
ঢাকা এসে পৌছার আগেই মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, শহীদসোহরাওয়ার্দি, শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধে রাজনীতির মন্ত্র মুখস্ত করিয়ে নেন। আইন পেশার সাথে চলে রাজনীতির তালিম। এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বাড়তে থাকে, ১৯৬২-৬৫ সনে তিনি " সিলেট-৩" কুলাউড়া -বড়লেখা আসনের এম পি এ নির্বাচিত হন। পাক শাসক ও শোষন বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন সফলের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি ২য় বারের ন্যায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানীদের গণ হত্যা ও দমন পীড়নের জ্বালায় বাংগালী যখন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে তখন মোন্তাকীম চৌধুরী বিভিন্ন স্তরে সংগঠক ও কৌশলগত পরামর্শ দাতা হিসেবে ভুমিকা রাখেন। প্রবাসী সরকারের কর্মকান্ড আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক সমর্থন গড়ে তুলতে তিনি আপ্রান চেষ্টা চালান। বাংলাদেশ স্বাধীন এর পর তিনি "সংবিধান প্রণয়ন কমিটি"র সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের এলাকা " সিলেট ১৩" আসন থেকে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধে তিনি জাপান, জার্মান ও দ:কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এর দায়িত্ব পালন করেন। চাকুরী এবং রাজনীতির প্রতি অনীহা জন্মালে তিনি সবকিছু ছেড়ে অষ্টেলিয়ায় চলে যান, অনেকটা নির্বাসিত জীবনের মতো। এখনো বেচে আছেন অসুস্থ শরীর নিয়ে।
মোন্তাকীম চৌধুরীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ের জামাই উনারই ভাতিজা জ্বীন বিজ্ঞানী ও বর্তমান সরকারের জাতীয় শিক্ষা সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান আবেদ চৌধুরী এবং ছোট মেয়ের জামাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর।
লেখক ওয়াহিদ মুরাদ
সম্পাদক: ময়নুল হক পবন, প্রকাশক: রিয়াজুল হক রেজা, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহাম্মদ জয়নুল হক.
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়,কামাল প্লাজা (১ম তলা), কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,ফোন: ০১৭১১-৯৮৩২৬৯
ঠিকানা: 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢 𝐈𝐧𝐯𝐞𝐬𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐩𝐚𝐫𝐤 𝐃𝐈𝐏, 𝐀𝐥 𝐁𝐚𝐲𝐚𝐧 𝐁𝐮𝐢𝐥𝐝𝐢𝐧𝐠 𝟐𝟎𝟏𝟏, 𝐏.𝐎 𝟏𝟎𝟎𝟏𝟐𝟏- 𝐃𝐮𝐛𝐚𝐢. সংবাদ, ছবি ও বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা: Email: kulauradorpon@gmail.com ওয়েবসাইট: www.kulaurardarpan.com,
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত