1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি কুলাউড়া চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার জুড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র জেলার শীর্ষে, অবৈধ সংযোগ ও বকেয়া আদায়ে সফলতা ময়লা-আবর্জনায় ভরেছে জুড়ী নদী, হাওরের পরিবেশ সংকটে বৃটেনে কুলাউড়া কন্যার ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইন কাতালোনিয়ার কমিটি ঘোষনা কুলাউড়া পৌরসভার আয়োজনে চতুর্থ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন কুলাউড়ার কাদিপুরের সন্তান আজ সফল শিল্পপতি আজম জাহাঙ্গীর চৌধুরী মৌলভীবাজারে নতুন জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল ১৭ বছর পর বিএনপির দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন- উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত কুলাউড়ায় এমপি প্রার্থী শওকতুল ইসলাম

কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

ক্ষীরোদ বিহারী সোম / ডঃ মঞ্জুশ্রী চৌধূরী

ক্ষীরোদ বিহারী সোম কাদিপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন আসাম প্রদেশের একজন মহকুমা প্রশাসক। লেখালেখিতে তাঁর সুদক্ষ হাত ছিল। তিনি ‘অনুরুদ্ধ’ ছদ্মনামে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতেন। তাঁর মেয়ে বহু গ্রন্থের লেখক অধ্যাপিকা ডঃ মঞ্জুশ্রী চৌধুরী এবং নাতি অধ্যক্ষ ডাঃ শুভাগত চৌধুরী ও অভিনেতা–অধ্যাপক ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।

ড. মঞ্জুশ্রী চৌধূরী

ড. মঞ্জুশ্রী চৌধূরীর জন্ম ১৯২৩ সালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার কাদিপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংশন গ্র্যাজুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.টি (প্রথম শ্রেণী), এম.এ, এম.এড (প্রথম শ্রেণী) এবং পি-এইচ.ডি।

পেশাগত জীবনে তিনি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষয়ত্রী, বিভাগীয় স্কুল পরিদর্শক, নায়েমের ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপিকা এবং বেগম বদরুন্নেছা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন। অবসর জীবনে তিনি সাহিত্য ও শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মসূত্রে জড়িত ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ইসলাম সম্পর্কে পত্র-পত্রিকায় তাঁর মনন-ঋদ্ধ প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থগুলো হলো—

‘রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক’, ‘বাংলা শিক্ষন-পদ্ধতি’, ‘শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের কথা’, ‘শিক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান’, ‘শিশুর জীবন বিকাশ’, ‘সুশিক্ষক’, ‘রবীন্দ্রভাবনা’, ‘জাগ্রত যে ভালো’, ‘বিষকন্যা’, ‘সোনার খাঁচা’ ইত্যাদি।

তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁর দুই পুত্র—

১. ডাঃ শুভাগত চৌধুরী,

২. ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী।

ডাঃ শুভাগত চৌধুরী

ডাঃ শুভাগত চৌধুরী ১৯৪৭ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৪ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বারডেমসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। শুভাগত নিউইয়র্ক সায়েন্স একাডেমীর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিনি অসংখ্য গ্রন্থ, গবেষণা ও প্রবন্ধ রচনা করেন। তাঁর গবেষণার মূল বিষয় ছিল প্রাণরসায়ন, পুষ্টি ও চিকিৎসাশিক্ষা পদ্ধতি।

শুভাগত চৌধুরী ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, ৭৮ বছর বয়সে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী

ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২৩ জানুয়ারি সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।

তিনি ১৯৮৩–৮৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশিপ প্রোগ্রাম থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলোশিপ লাভ করেন। একই সময়ে নিউ ইয়র্ক সিটির স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ডেন্টাল মেডিসিনের ওরাল বায়োলজি অ্যান্ড প্যাথলজি বিভাগে পোস্ট-ডক্টরেট রিসার্চ ফেলোশিপ লাভ করেন।

তিনি ২০০৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ কন্টিনিউয়াস ডেন্টাল এডুকেশনের ফেলো এবং ২০০৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন ওরাল ক্যান্সারের ফেলো নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অফ সার্জনস থেকে ফেলোশিপ ইন ডেন্টাল সার্জারি ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৮০–১৯৮১ সালে তিনি সিলেটের এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজে এবং ১৯৮১–১৯৮২ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে দন্ত চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ঢাকার পিজি হাসপাতাল এবং ২০০১ সাল থেকে বারডেমের দন্ত চিকিৎসা বিভাগের প্রধান ও ঊর্ধ্বতন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

১৯৮৯ সালে তিনি মাদক ও ধূমপানবিরোধী সংগঠন ‘মানস’ প্রতিষ্ঠা করেন, যার উদ্দেশ্য যুবসমাজকে ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা। সরকার অনুমোদিত এই সংগঠনটি ১৯৯৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদক ও সার্টিফিকেট অর্জন করে। সমাজসেবায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।

২০১৫ সালে তিনি ‘‘স্বর্গ থেকে নরক’’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ছবিটি ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ মুক্তি পায়।

কুলাউড়ার পথে প্রান্তরে।। – লেখক: ওয়াহিদ মুরাদ

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট