বিশেষ প্রতিবেদন । কুলাউড়ায় দর্পণ:
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার একজন আলোকিত, শিক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ ড. প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়ে ওঠা একজন সাহসী, সংগঠিত ও জনবান্ধব রাজনৈতিক সৈনিক। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়, এক প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব যিনি মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
কুলাউড়া-মৌলভীবাজার-২ আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে একজন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল বিএনপি থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ পর্যন্ত সকলের মাঝে তাঁর সম্পর্কে রয়েছে স্পষ্ট আস্থা ও প্রত্যাশা।
ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর জন্ম ১৯ জুলাই ১৯৬৪ সালে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাসিমপুর গ্রামে (ডাকঘর: কাদিপুর)। তাঁর পিতা মরহুম মকবুল চৌধুরী ছিলেন একজন সজ্জন ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি।
শিক্ষাবান্ধব ও নীতিনিষ্ঠ পরিবেশে বেড়ে ওঠা ড. চৌধুরী শিক্ষা জীবনে ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তিনি বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি—উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে বিসিএস পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরির মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় সফল হন।
উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে গমন করেন এবং সেখান থেকে পিজিসিই (PGCE) ডিগ্রি অর্জন করেন। এই আন্তর্জাতিক যোগ্যতা তাঁকে আধুনিক, উদার ও বিশ্বদর্শী নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলেছে, যা বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে দুর্লভ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এরপর ধাপে ধাপে তিনি বিএনপির বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পালন করেন। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখেন।
রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ধাপে তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চারটি মূলনীতি—দেশপ্রেম, গণতন্ত্র, স্বনির্ভরতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা—এই মূল আদর্শকে ধারণ করে কাজ করে গেছেন। দলের সংকটময় সময়েও তিনি ছিলেন অকুতোভয় এবং মাঠের সক্রিয় কর্মী ও সংগঠক।
ড. সাইফুল আলম চৌধুরী কেবল রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও সেবাপরায়ণ সমাজসেবক। তিনি কুলাউড়ায় বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসনীয় ও স্মরণীয়।
তিনি অসংখ্য দরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছেন, গরীবদের চিকিৎসায় সহায়তা করেছেন, শীতবস্ত্র বিতরণ ও দুর্যোগকালে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এই নীরব ও নিরলস সেবামূলক কাজগুলো তাঁকে জনগণের কাছে একজন “ভরসার মানুষ” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।নিজেকে প্রচারের আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন ড. চৌধুরী। তিনি বিশ্বাস করেন—নেতৃত্ব মানেই ক্ষমতা নয়, বরং তা দায়িত্ব, সেবা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ। নিজের অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যয় করে তিনি কুলাউড়ার সাধারণ জনগণের মাঝে আস্থা অর্জন করেছেন। তাঁর কাজের নীরবতা ও আন্তরিকতা তাঁকে আলাদা করে চিহ্নিত করেছে। আজ কুলাউড়া-মৌলভীবাজার-২ আসনের অলিগলি থেকে চায়ের দোকান পর্যন্ত উচ্চারিত হচ্ছে একটি নাম—ড. প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী। জনগণ বিশ্বাস করে, তাঁর মতো একজন শিক্ষিত, অভিজ্ঞ, ধর্মভীরু ও মানবিক নেতৃত্ব পেলে এই জনপদের চেহারা আমূল বদলে যেতে পারে।
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের একাংশ মনে করেন, তিনি যদি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তবে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার-২ আসনে সত্যিকারের জননেতৃত্বের বিজয় হবে।
শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত এই সাহসী মানুষটিই হতে পারেন আগামী দিনের কুলাউড়ার জনগণের উন্নয়ন, কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার কান্ডারী
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।