1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সচেতনতা জরুরি, দায়িত্ববোধ তার চেয়েও বেশি.. স্মরণ সভায় বক্তারা- কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন আবিদ হোসেন মাস্টার বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু নিউইয়র্কে পুলিশের দায়িত্ব পালন কালে অস্ত্রধারীর গুলিতে কুলাউড়ার দিদার নিহত।  কুলাউড়ায় সন্ধ্যা রাতে ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগ ছিনতাই। ভিডিও ফুটেজ অবৈধ অনুপ্রবেশ- বড়লেখা সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কুলাউড়াবাসী। আত্মসম্মান নিয়ে বেচে থাকাই দায়। কুলাউড়া বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শওকতুল ইসলাম শকু ও জয়নাল আবেদীন বাচ্চু কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে ত্রিমুখী লড়াই

কুলাউড়ার পাঁচ সন্তানই শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী, হতাশায় দিন কাটে রামজনম গড়ের পরিবার

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

✍️ প্রতিবেদক | কুলাউড়ার দর্পণ

“ভগবান পাঁচটা সন্তান দিল, তারার মুখে কথা দিল না, কথা শোনার শক্তি দিল না”—এভাবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগানের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী রামজনম গড়।

আট সদস্যের পরিবারের সবাইকেই যেন জীবন বঞ্চনার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে। স্ত্রী বাসন্তী গড় (৫৫) পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই জন্ম থেকেই শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী। কেবল একমাত্র মেয়ে সুমিত্রা গড় সুস্থ, যাঁর বিয়ে হয়েছে পাশের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা-বাগানে।

ছেলেরা হীরা (২২), যমজ কানাইলাল ও কৃষ্ণলাল, এবং সবার ছোট দীপক—সবারই এক অবস্থা। মেয়ের মধ্যে লক্ষ্মী গড়ও প্রতিবন্ধী। সংসার চলে কেবল বড় ছেলে হীরার সামান্য উপার্জনে। তিনি বাগানে কাজ করে দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি পান এবং কিছু রেশন পেয়ে থাকেন।

মাটির দেয়ালঘেরা ছোট একটি কক্ষে গাদাগাদি করে এ পরিবার বসবাস করে। পরিবারের কর্তা রামজনম বয়সের ভারে আর চা-বাগানে কাজ করতে পারেন না। বর্তমানে তাঁর কর্ম বলতে বাড়ির দুটি গরুর দেখাশোনা—সকালে ঘাস খাওয়ানো আর বিকেলে ফিরিয়ে আনা।

রামজনমের কথায় উঠে আসে এক অসহায় বাস্তবতা, “আমরা আর কয় দিন বাঁচি! কিন্তু এই পোলাপাইনগুলার (পাঁচ সন্তান) জীবনটা কীভাবে চলবে, এই চিন্তায় ঘুম হারাম।”

প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধু কৃষ্ণলালই কিছু বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। সম্প্রতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বাকি চারজনকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখানো হয় এবং তাঁদের প্রতিবন্ধী হিসেবে সনদ দেওয়া হয়েছে। এখন ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ বর্মা বলেন, “রামজনম গড়ের পরিবারের বাকি চারজন সন্তানের ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি সিলেটের শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়ে সবার ছোট দীপক গড়ের ভর্তি সম্ভব। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

রামজনম গড়ের পরিবারের কষ্ট শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি মানবিক সংকটও বটে। এই পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের সুহৃদদের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!