1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজার -২,কুলাউড়া সংসদীয় আসন পরিবর্তনের পর তা ডাঃ জুবায়দার প্রতি উৎসর্গ করবো …..সিলেট বিভাগবন্ধু আবেদ রাজা কুলাউড়ায় ১শ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি: ভারত সীমান্তবর্তী কর্মধায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে : ২ জনের মৃত্যু পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও “ডন” পত্রিকার সম্পাদক কুলাউড়ার আলতাফ হোসেন দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত “দুই সেতুর ঝুঁকিতে হাজারো মানুষের জীবন—ভবানীপুর ও লক্ষীপুরে জরুরি সংস্কারের দাবি” জুড়ীতে স’মিল ৩ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া বিল নিয়ে মালিকের নাটকীয় কাণ্ড কুলাউড়ার গৌরব ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী: সংগ্রাম, রাজনীতি ও রাষ্ট্রগঠনের এক জীবন্ত ইতিহাস কাতার যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: কুলাউড়ার তরুণীর মৃত্যু, আরেকজন লাইফ সাপোর্টে কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি

কুলাউড়ার পাঁচ সন্তানই শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী, হতাশায় দিন কাটে রামজনম গড়ের পরিবার

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

✍️ প্রতিবেদক | কুলাউড়ার দর্পণ

“ভগবান পাঁচটা সন্তান দিল, তারার মুখে কথা দিল না, কথা শোনার শক্তি দিল না”—এভাবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগানের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী রামজনম গড়।

আট সদস্যের পরিবারের সবাইকেই যেন জীবন বঞ্চনার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে। স্ত্রী বাসন্তী গড় (৫৫) পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই জন্ম থেকেই শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী। কেবল একমাত্র মেয়ে সুমিত্রা গড় সুস্থ, যাঁর বিয়ে হয়েছে পাশের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা-বাগানে।

ছেলেরা হীরা (২২), যমজ কানাইলাল ও কৃষ্ণলাল, এবং সবার ছোট দীপক—সবারই এক অবস্থা। মেয়ের মধ্যে লক্ষ্মী গড়ও প্রতিবন্ধী। সংসার চলে কেবল বড় ছেলে হীরার সামান্য উপার্জনে। তিনি বাগানে কাজ করে দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি পান এবং কিছু রেশন পেয়ে থাকেন।

মাটির দেয়ালঘেরা ছোট একটি কক্ষে গাদাগাদি করে এ পরিবার বসবাস করে। পরিবারের কর্তা রামজনম বয়সের ভারে আর চা-বাগানে কাজ করতে পারেন না। বর্তমানে তাঁর কর্ম বলতে বাড়ির দুটি গরুর দেখাশোনা—সকালে ঘাস খাওয়ানো আর বিকেলে ফিরিয়ে আনা।

রামজনমের কথায় উঠে আসে এক অসহায় বাস্তবতা, “আমরা আর কয় দিন বাঁচি! কিন্তু এই পোলাপাইনগুলার (পাঁচ সন্তান) জীবনটা কীভাবে চলবে, এই চিন্তায় ঘুম হারাম।”

প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধু কৃষ্ণলালই কিছু বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। সম্প্রতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বাকি চারজনকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখানো হয় এবং তাঁদের প্রতিবন্ধী হিসেবে সনদ দেওয়া হয়েছে। এখন ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ বর্মা বলেন, “রামজনম গড়ের পরিবারের বাকি চারজন সন্তানের ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি সিলেটের শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়ে সবার ছোট দীপক গড়ের ভর্তি সম্ভব। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

রামজনম গড়ের পরিবারের কষ্ট শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি মানবিক সংকটও বটে। এই পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের সুহৃদদের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট