বিশেষ প্রতিবেদন। কুলাউড়ার দর্পন।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও কুলাউড়ার প্রিয়মুখ আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু।
তিনি বলেন, “আমার চার দশকের রাজনীতি শুধু দলের জন্য নয়, জনগণের জন্য। একাধিকবার মনোনয়ন না পেয়েও দলের সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থীর পক্ষে প্রাণপণে কাজ করেছি। এখন কর্মীদের ভালোবাসা ও মাঠপর্যায়ের আস্থায় আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।”
রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষা ও সমাজসেবায় উজ্জ্বল ভূমিকা
১৯৭৪ সালে জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স শেষে ১৯৮৩ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে ১২ বছর শিক্ষকতা করেন এবং ছিলেন এক্সামিনার। পাশাপাশি নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে—বাংলাদেশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব লন্ডনের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক এবং সুরমা কমিউনিটির সভাপতি হিসেবে।
মানুষের পাশে সবসময় ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কুলাউড়া ও জুড়ী এলাকায় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতায় সক্রিয় হন তিনি। পরবর্তীতে ২০০২ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০০৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
দানবীর হিসেবে তাঁর পরিচয় আজ সর্বজনবিদিত।
গত ৩০ বছরে তাঁর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয়েছে শতাধিক ফ্রি চক্ষু শিবির ও চক্ষু অপারেশনের ব্যবস্থা। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ উন্নয়ন, এবং বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রকল্প। নিজ ভাষায় তিনি বলেন, “রাজনীতি থেকে কিছু নিইনি, যা আছে তা দিয়েই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।”
গণভিত্তি ও আস্থা ২০০৮ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোটে পেয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন কুলাউড়াবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা তাঁর প্রতি কতটা গভীর। বর্তমানে কুলাউড়ায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠন তাঁর নেতৃত্বে সুসংগঠিত ও সক্রিয়।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,
“ইনশাল্লাহ, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে কুলাউড়া আসনটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারব। মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।