1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজার -২,কুলাউড়া সংসদীয় আসন পরিবর্তনের পর তা ডাঃ জুবায়দার প্রতি উৎসর্গ করবো …..সিলেট বিভাগবন্ধু আবেদ রাজা কুলাউড়ায় ১শ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি: ভারত সীমান্তবর্তী কর্মধায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে : ২ জনের মৃত্যু পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও “ডন” পত্রিকার সম্পাদক কুলাউড়ার আলতাফ হোসেন দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত “দুই সেতুর ঝুঁকিতে হাজারো মানুষের জীবন—ভবানীপুর ও লক্ষীপুরে জরুরি সংস্কারের দাবি” জুড়ীতে স’মিল ৩ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া বিল নিয়ে মালিকের নাটকীয় কাণ্ড কুলাউড়ার গৌরব ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী: সংগ্রাম, রাজনীতি ও রাষ্ট্রগঠনের এক জীবন্ত ইতিহাস কাতার যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: কুলাউড়ার তরুণীর মৃত্যু, আরেকজন লাইফ সাপোর্টে কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি

কুলাউড়ায় চা-বাগানের ভেতর নজর কাড়ে ‘পামটিলা’

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার।। কুলাউড়ার দর্পণ।।

বাগানের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া পাকা সড়কের দুই পাশে সবুজ চা-গাছ। চায়ের জমি ছাড়িয়ে অদূরের তিনটি টিলাজুড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি পামগাছ। দূর থেকে পথচারীদের নজর কাড়ে স্থানটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে স্থানটি ‘পামটিলা’ নামে পরিচিত। গবাদিপশু চরাতে গিয়ে রাখালেরা সেখানে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন। আবার কেউ কেউ প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে বেড়াতেও যান।

স্থানটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগান এলাকায় পড়েছে। কুলাউড়া পৌর শহর থেকে গাজীপুর চা-বাগান হয়ে রাঙ্গিছড়া বাগান অথবা মুরইছড়া যাওয়ার পথে পামটিলার দেখা মিলে। গত শনিবার বিকেলে সড়কটি দিয়ে যাওয়ার সময় পামটিলার এ দৃশ্য চোখে পড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জানা যায়, পাশাপাশি তিনটি টিলায় অন্তত ২০০টি পামগাছ আছে। বেশ কিছু গাছে ফলন এসেছে। কালচে রং ধরেছে অনেক পামে।

আশপাশে গরু চরিয়ে পামটিলার এক পাশের ঢালে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কালিটি বাগানের বাসিন্দা অজিত কৈরি। ষাটোর্ধ্ব অজিত আগে বাগানটিতেই কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে অবসর নিয়েছেন। এখন নিজেদের গবাদিপশুর যত্ন-আত্তি করে তাঁর দিন কাটে।

চা-বাগানে পামগাছ কেন? জানতে চাইলে অজিত হেসে জবাব দেন, ২০-২৫ বছর আগে বাগানটির আগের ইজারাদার শখ করে গাছগুলো লাগান। ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়েছে। সব গাছেই কমবেশি ফল ধরে। তবে কেউ তেমন যত্ন নেন না।

নির্জন টিলার ওপর থেকে গানের সুর শোনা যাচ্ছিল। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, এক কিশোর হাতে দা নিয়ে পামগাছের শুকনা ডালপালা কাটছে আর গাইছে। কিশোরটি জানাল, তার নাম রমন। বাড়ি এ বাগানেই। গরু চরাতে গিয়ে সে প্রায়ই এ কাজ করে। রমন বলে ওঠে, ‘মরা ডাল কাটলে, জঙ্গল সাফ করলে, গাছ সুস্থ থাকব, বড় হইব।’

সড়কটি দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন পাশের জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক অশোক রঞ্জন পাল ও খোকন রুদ্রপাল। এ সময় গাড়ি থামিয়ে পামটিলার পথে পা বাড়ান তাঁরা। অশোক রঞ্জন পাল বললেন, ‘আমাদের বাড়িও চা-বাগান এলাকায়। এখানে চা-বাগানের বুকে সারি সারি পামগাছ দেখে সুন্দর লাগছে। তাই একটু ঘুরে গেলাম আরকি!’

ম্যাক্সিম ব্রাদার্স নামে সিলেটের একটি প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে কালিটি চা-বাগান পরিচালনা করছে। বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোর সোজাসুজি পামটিলার অবস্থান। তবে যোগদানের পর থেকে এখনো সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামের। তিনি বলেন, নানা ব্যস্ততায় স্থানটিতে যেতে পারেননি। আগের ইজারাদার পামগাছগুলো লাগান বলে শুনেছেন। গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। পামের প্রজাতি, চাষপদ্ধতি, ফলন, ফল কীভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সে সম্পর্কে তাঁর বিস্তারিত জানা নেই। সম্প্রতি সিলেটে এক পামচাষির তথ্য পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। এরপর গাছগুলো সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।

 

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট