স্টাফ রিপোর্টার | কুলাউড়ার দর্পণ।।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরীণ আরসিসি সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত অনুপাতে সিমেন্ট না দিয়ে অতিরিক্ত বালু ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই এই সড়কটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে, ফলে রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েন। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কার প্রকল্প হাতে নেয়। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় সিলেটের শিবগঞ্জের মেসার্স রূপালী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিডিউল অনুযায়ী প্রতি মিশ্রণে ১ বস্তা সিমেন্ট, ৪ টুকরি বালু ও ৮ টুকরি খোয়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও, বাস্তবে দেওয়া হচ্ছে ৮ টুকরি বালু, যা সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে ঢালাই কাজ চলেছে। অনেক জায়গায় খোয়া ভেসে উঠেছে। ইটের খোয়া ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি রড বাঁধার ক্ষেত্রেও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন, রুবেল আহমদ ও আহাদ মিয়া অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. রফিক মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঢালাইয়ের মিশ্রণে সব উপকরণ ঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ নিয়মিত তদারকি করছেন। টানা বৃষ্টির কারণেই খোয়া কিছু জায়গায় ভেসে উঠেছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, “প্রথম দিকে কিছু অনিয়মের চেষ্টা হয়েছিল, তবে এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে কাজ হচ্ছে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল হক বলেন, “শিডিউল অনুযায়ী কাজ তদারকি করা হচ্ছে। তবে কাজের সময় উপকরণে কমবেশি হতে পারে, প্রকৌশলীরা সতর্ক আছেন।”
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।