বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা পৌরশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কানাডা প্রবাসীর বৌভাত অনুষ্ঠানে ছিলেন বাড়ির সবাই ব্যস্ত। দিনে দুপুরে বাড়ির পেছনের ফটক ভেঙ্গে ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে ইউএস ডলার, টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইল ফোন, ঘড়িসহ ৩০ লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র।
এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে রোববার বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটার দিকে পৌরশহরে পাখিয়ালায় হাজী আব্দুল আলী ট্রেড সেন্টারের স্বত্তাধিকারি শামীম আহমদের সুরক্ষিত বাসভবনে।
খবর পেয়েই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির কাজের মহিলা স্বপ্না বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ডাকাত চক্রকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।
খবর পেয়েই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির কাজের মহিলা স্বপ্না বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ডাকাত চক্রকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।
উপজেলা প্রশাসন ও থানা কমপ্লেক্সের ২/৩শ’ মিটার দূরত্বের মধ্যে দিনে-দুপুরে এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ভোক্তভোগিরা সহ এলাকাবাসী বিম্মিত। অতীতে বড়লেখায় এধরণের ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে কারো জানা নেই।
জানা গেছে, ব্যবসায়ি শামীম আহমদের ছেলে কানাডা প্রবাসী সাকিব আহমদের বৌভাত ছিল রোববার। আত্মীয়-স্বজনসহ সবাই দ্বিতল বাড়ির প্রত্যেকটি রুমে পৃথক পৃথক থালা দিয়ে চলে যান স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৌভাত অনুষ্ঠানে। বেলা আড়াইটার দিকে পরিবারের কয়েকজন মহিলা বাড়ি ফিরে দেখেন পেছনের ফটকের এবং প্রত্যেকটি রুমের দরজার তালা ভাঙ্গা। ভেতরে আলমারির তালা ভাঙ্গা এবং মালামাল তচনছ করা। এরপর সবাই ছুটে আসেন বাড়িতে।
শামীম আহমদের ভাই আমেরিকা প্রবাসী সেলিম আহমদ ভাতিজা কানাডা প্রবাসী সাকিব আহমদের বিয়েতে স্বপরিবারে দেশে আসেন। বিয়ের অনুষ্ঠান আগের দিন শেষ হলেও বৌভাত ছিল রোববার। আত্মীয়-স্বজনে ছিল বাড়ি ভর্তি। দুপুরে সবাই বাড়িতে তালা দিয়ে বৌভাত অনুষ্ঠানে চলে যান। এই সুযোগে ডাকাত চক্র বিল্ডিংয়ের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে। শামীম আহমদের চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান খছরু জানান, প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, ডাকাতরা নগদ ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, ৫০০ ইউএস ডলার, ১৫ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, দামি হাতঘড়ি, ৫টি মোবাইল ফোনসেটসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। দোতলা বিল্ডিংয়ের নিচের তিন রুম ও উপরের তিন রুমে ডাকাতরা হানা দিয়েছে। ৫ রুমের প্রত্যেকটি ষ্টিল ও কাঠের আলমিরা ভেঙ্গে তচনছ করে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। একটি রুমের ভেতরের আলমিরার তালা ভাঙ্গতে পারেনি ডাকাতরা। এজন্য ওই রুমের টাকা স্বর্ণালংকারসহ মালামালগুলা রক্ষা পেয়েছে।
থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা রোববার সন্ধ্যায় জানান, এঘটনায় বাড়ির কাজের মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।তদন্তে পুলিশের একটি বিশেষ টিম মাঠে নেমেছে।তিনি আশা করছেন রাতেই লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এ চক্রকে আটক করতে সক্ষম হবেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।