স্টাফ রিপোর্টার | কুলাউড়ার দর্পণ।
কুলাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জংশন রেলস্টেশন, যা মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে সেকশনের অন্তর্গত এই স্টেশনটি সিলেট বিভাগের প্রাচীনতম জংশনগুলোর একটি। বর্তমানে এটি সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলস্টেশন; প্রথমটি হচ্ছে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন।
তবে এত ঐতিহ্যের মাঝেও যাত্রীসেবার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে—বিশেষ করে স্টেশনের যাত্রী বিশ্রামাগারের টয়লেট ব্যবস্থাপনা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্রামাগারের সঙ্গে যুক্ত টয়লেটে রয়েছে সচ্ছ কাঁচের জানালা, যার মাধ্যমে বাইর থেকে ভেতরের পুরো দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এতে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে, বিশেষত মহিলা যাত্রীদের জন্য এটি মারাত্মক লজ্জাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে যা দেখা গেল: দুটি টয়লেটের মধ্যে একটি তালাবদ্ধ, অন্যটি খোলা থাকলেও সেখানে গোপনীয়তা রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই। জানালাগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে, বাইরে দাঁড়ালেই ভেতরে কী হচ্ছে, তা স্পষ্ট দেখা যায়। এতে অনেক যাত্রী এই টয়লেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকছেন।
❓ যাত্রীদের প্রশ্ন:
এই টয়লেটের এমন ডিজাইন কে অনুমোদন দিলো?
সচ্ছ কাঁচের জানালার প্রয়োজনীয়তা কী?
মহিলা যাত্রীরা কীভাবে এই টয়লেট ব্যবহার করবেন?
এমন অনিরাপদ ও অদক্ষ টয়লেট ব্যবস্থার দায়ভার কার?
এক যাত্রী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন,
“এই বিশ্রামাগারের টয়লেট কোনোভাবেই ব্যবহারযোগ্য নয়। এমন প্রকাশ্য জায়গায় কাঁচের জানালা রাখা মানে যাত্রীদের বিব্রত করা। এটা চরম উদাসীনতা।”
দাবি:
স্থানীয় সচেতন মহল ও যাত্রীরা এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের প্রধান দাবি—
অবিলম্বে অস্বচ্ছ জানালায় পরিবর্তন আনা হোক
উভয় টয়লেট ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হোক
নারী-পুরুষের জন্য পৃথক ও নিরাপদ টয়লেট নিশ্চিত করা হোক।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।