বিজ্ঞাপনঃ
গত ২৮ জুলাই সাপ্তাহিক পাতাকুড়ির দেশ পত্রিকা ও দৈনিক মৌমাছির কন্ঠ পত্রিকায় ‘কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতা সেন্টু এখন বিএনপির কমিটিতে’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ৭ ন ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ও সাবেক বরমচাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি এবং বরমচাল শাহ কালা(র): এর খাদিম আজমল আলী শাহ সেন্টু। এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, শাহ কালা (র): এর মাজারের খাদিম থাকার স্বার্থে অনেকের সাথে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে অনেক ছবি উঠতে হয়েছে। তাই বলে আমাকে যুবলীগ নেতা আখ্যায়িত করে বিভিন্ন প্রচারনা চালানো হচ্ছে। আসলে আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত৷ আমি বরমচাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ও জাসাসের উপজেলা শাখার সিনিয়র সদস্যসহ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। বর্তমানে বরমচাল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্বে আছি। তাছাড়া ২০০১-০৬ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির সমাবেশে আসলে সেই সমাবেশের পূর্বে জাসাস শিল্পী হিসাবে ৪/৫ টি সংগীত পরিবেশন করেছিলাম। আমি একজন সক্রিয় বিএনপি কমীকে ফ্যাসিস্টদের দলের সদস্য বলে অপপ্রচার করায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আসলে আমার সাথে বরমচালের একটি মহলের সাথে জায়গা সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং আদালতে মামলা মোকদ্দমা থাকায় ঐ মহল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হেয় করতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাকে যুবলীগ বলে মিথ্যাচার করাচ্ছে আমার প্রতিপক্ষরা। আর বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুর জহুর ডেন ও যুগ্ন আহবায়ক তোফায়েল হোসাইন খান জমশেদ ও বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাখায়ত হোসেন এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি তারা খুলাসা করেছেন। আমার কোন শত্রু বিএনপিতে নেই। যারা বরমচাল বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী দেখতে চায়না তারাই আমার মতো বিএনপির একজন একনিষ্ট কর্মীকে যুবলীগ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসলে যারা অতীকে প্রধান মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার রাজুর সাথে আতাত করে গ্যাস পাম্প প্রতিষ্টা করেছেন এবং গ্যাস পাম্প প্রধান মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজুর কে দিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন তারা কিভাবে বিএনপিকে নিয়ে মায়া কান্না করেন। যদি তারা বিএনপি করতেন তাহলে মৌলভীবাজার বিএনপির সভাপতি নন্দিত নেতা নাসের রহমান,কুলাউড়ার কিংবদন্তি নেতা এড আবেদ রাজাসহ বিএনপির কুলাউড়ার শীর্ষ অনেক নেতৃবৃন্দ রয়েছেন যাদেরকে নিয়ে তিনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্টান উদ্বোধন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি আওয়ামীলীগের মানুষ হওয়ায় আওয়ামীলীগের মানুষকে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্টান উদ্বোধন করেছেন। তারাই আমাকে বিএনপি মানতে নারাজ।
আজমল আলী সেন্টু বলেন, তারা শুধু আমাকে বিএনপি মানতে নারাজ হয়ে বসে থাকেনি; তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি এবং আমার জায়গা জবর দখলের পায়তারা করছেন দীর্ঘদিন থেকে। বিশেষকরে বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম সিংগুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র ফখরুল ইসলাম,নজরুল ইসলাম ও বদরুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন। এমনকি লাইভে এসে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তারা । আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনানিপাত করছি। এবং সম্প্রতি তাদের অপতৎপরতা ও হুমকির বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় জিডিও করেছি।
সচেতন মহলের প্রতি আমার আকুল আহবান তাদের এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্তি না হওয়ার জন্য। আমি একটি মাযারের খাদিম পরিচালনা করি। আমি ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে জীবনযাপন করে আসছি। এবং জাসাসের শিল্পী হিসাবে আমি ইসলামী সংগীত পরিবেশনাও করি। একজন শিল্পী হিসাবে সকলেই আমাকে চিনেন জানেন। আমার পূর্ব পূরূষসহ সকলেই বিএনপির রাজনীতি করেছেন করতেন এটা সমস্থ কুলাউড়াবাস জানেন। নতুন করে ভুল তথ্য দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করার কোন অবকাশ নেই।
বিনীত
আজমল আলী শাহ সেন্টু
বিএনপি নেতা ও সংগীত শিল্পী
বরমচাল ইউপি,কুলাউড়া
কুলাউড়া,মৌলভীবাজার ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।