কমলগঞ্জ প্রতিনিধি, কুলাউড়ার দর্পণ।
কমলগঞ্জে নিজ বসতঘরে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আব্দুর রাহিম রাফিকে (২৪) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এটি খুন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোনো কারণ অনুমান করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাফি রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি মুন্সীবাজার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের ভাতিজা ও সত্তার মিয়ার ছেলে।
নিহত রাফির বন্ধু প্রতিবেশী সামি জানান, সকালে রাফি একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠতো, শনিবার সকালে আমাদের একটা কাজে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর চলে এলেও ঘুম থেকে রাফি না উঠায় আমি তাকে ডেকে তোলার জন্য তার ঘরে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। তখন ঘরের ভেতরে খুব একটা আলো না থাকায় অন্ধকারের মধ্যে রাফিকে ডাকতে ডাকতে কোনো শব্দ না পাওয়ায় তার বিছানার পাশে গেলে ভেজা কিছু হাতে লাগলে তখন আলো জ্বালাই। আলো জ্বালিয়ে দেখি রাফির রক্তাক্ত দেহ খাটে পড়ে আছে। তখন সাথে সাথে রাফির পরিবারের সদস্য আব্দুল হাদিকে জানাই। হাদি পুলিশে খবর দেন।
চাচাত ভাই আব্দুল হাদি চৌধুরী ঝুমন (৩৫) জানান, শুক্রবার রাফির স্ত্রী তাদের দু’ সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে চলে যায়। রাতে বাড়িতে রাফি ঘরের মধ্যে একাই ঘুমাতে যায়। দুপুরে সামি আমাকে জানায় রাফিকে কারা যেন হত্যা করেছে।
মুন্সিবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাহিদ আহমেদ তরফদার জানান, আমি খবর পেয়ে এসেছি, রাফি খুব ভালো একটা ছেলে ছিল। তারা দুই ভাই। ছোট ভাই মাদরাসায় থেকে লেখাপড়া করে, বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের দেখভাল সব রাফিই করতো, আমার জানামতে তার কারো সাথে ঝামেলা ছিল না। এই হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে, খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) নোভেল চাকমা ও পিবিআইর পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।