স্টাফ রিপোর্টার || কুলাউড়ার দর্পণ।
জুলাই মাসে সারাদেশে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে কুলাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তার কর্মকাণ্ড আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ভূমিকা রেখেছে বলে বিবেচিত হয়েছে। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অবসরোত্তর ছুটিসহ বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে সারা দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় কুলাউড়া রেলওয়ে থানা এলাকায় সংঘটিত বেশ কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু সেলিমুজ্জামান নয়, একই অভিযোগে মোট ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে। রবিবার (১০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত ফাইলের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। প্রজ্ঞাপন যেকোনো সময় জারি হতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা হলেন—
মো. কামাল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), যমুনা সেতু-পূর্ব নৌ ফাঁড়ি, নৌ-পুলিশ। নুরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক, সিআইডি মৌলভীবাজার। আবু বকর সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক, মধুপুর সার্কেল অফিস, টাঙ্গাইল। মামুন অর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক, টুরিস্ট পুলিশ, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মা সেতু জোন। এস এম কামরুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক, রিজার্ভ অফিস, নারায়ণগঞ্জ। আব্দুল কুদ্দুস ফকির, পুলিশ পরিদর্শক, সিআইডি নরসিংদী।শিকদার শামীম হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক, এপিবিএন-৪, বগুড়া। আব্দুল লতিফ, পুলিশ পরিদর্শক, সিআইডি কন্ট্রোল রুম। মো. সেলিমুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক, কুলাউড়া রেলওয়ে থানা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় কয়েকজন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের ধরন সরকারের নীতি ও জনস্বার্থের পরিপন্থী ছিল। সেজন্য প্রশাসনিক স্বার্থে তাদের অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।