1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজার -২,কুলাউড়া সংসদীয় আসন পরিবর্তনের পর তা ডাঃ জুবায়দার প্রতি উৎসর্গ করবো …..সিলেট বিভাগবন্ধু আবেদ রাজা কুলাউড়ায় ১শ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি: ভারত সীমান্তবর্তী কর্মধায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে : ২ জনের মৃত্যু পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও “ডন” পত্রিকার সম্পাদক কুলাউড়ার আলতাফ হোসেন দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত “দুই সেতুর ঝুঁকিতে হাজারো মানুষের জীবন—ভবানীপুর ও লক্ষীপুরে জরুরি সংস্কারের দাবি” জুড়ীতে স’মিল ৩ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া বিল নিয়ে মালিকের নাটকীয় কাণ্ড কুলাউড়ার গৌরব ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী: সংগ্রাম, রাজনীতি ও রাষ্ট্রগঠনের এক জীবন্ত ইতিহাস কাতার যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: কুলাউড়ার তরুণীর মৃত্যু, আরেকজন লাইফ সাপোর্টে কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি

জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী কুলাউড়ার গোপাল সাঁওতালের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার॥ কুলাউড়ার দর্পণ।। কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া চা-বাগানের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া গোপাল সাঁওতাল (পিতা-অনিল ম্ররং, মাতা-সঞ্চরি সাঁওতাল, জন্ম তারিখ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২) জন্মের পর থেকেই বহুমাত্রিক শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে। তিন বছরের এই শিশুটি হাঁটাচলা থেকে শুরু করে স্বাভাবিকভাবে কথা বলা ও চলাফেরায়ও সক্ষম নয়।

পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে তার বাবা-মা অতি কষ্টে সংসার চালালেও সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত অসহায় অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে ছোট্ট গোপাল।

এই পরিস্থিতির কথা জানাজানি হলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আজ বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গোপালের সার্বিক চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে শিশুটিকে সিআরপি (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড)-এর মৌলভীবাজার শাখায় তিন মাসব্যাপী চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি, বিশেষায়িত সেবা এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবে জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার।

জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “একটি শিশুর জীবন যেন প্রতিবন্ধকতায় আটকে না যায়, সে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে—এ দায়িত্ব সমাজের সবার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপালের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করি চিকিৎসার মাধ্যমে সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।”

গোপালের পরিবার জেলা প্রশাসকের এই মানবিক পদক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি গোপালের চিকিৎসা সম্ভব হবে। আজ জেলা প্রশাসক আমাদের সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন—এটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।”

এই উদ্যোগ মৌলভীবাজার জেলায় মানবিক কর্মকাণ্ডের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি সহায়তা যেমন কার্যকরী, তেমনি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে জানান স্থানীয়রা।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট