স্টাফ রিপোর্টার।
জুড়ী উপজেলা সদরে আঠা-জাল দিয়ে শিকার করা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি করার সময় বন বিভাগের অভিযানে ১৫টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ডাকঘর সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দুপুরে ব্যস্ত সড়কের পাশে এক ব্যক্তি খাঁচায় ভরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি করছিলেন। তিনি জাতভেদে প্রতি জোড়া পাখির দাম হাঁকেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ সময় কয়েকজন পথচারী সেখানে ভিড় করেন। কেউ দরদাম করতে থাকেন, আবার কেউ পাখি কিনে নিয়ে যান।
এমন সময় স্থানীয় এক ব্যাংক কর্মকর্তার নজরে বিষয়টি এলে তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন। পরে বিকেল তিনটার দিকে জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইনের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালায়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিক্রেতা খাঁচাবন্দী পাখিগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পরে বন বিভাগের দল খাঁচা থেকে মোট ১৫টি পাখি উদ্ধার করে। এর মধ্যে ছিল ৬টি মুনিয়া, ৫টি শালিক ও ৪টি টিয়া। উদ্ধারকৃত পাখিগুলো রেঞ্জ কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং বিকেল চারটার দিকে খাঁচা থেকে বের করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী রেঞ্জের লাঠিটিলা বিটের ফরেস্টার ফয়ছল মিয়া।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আঠা-জাল দিয়ে বন্যপ্রাণী শিকার করা এবং বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।