ষ্টাফ রিপোর্টার।
জুড়ীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করতে গিয়ে উল্টো নিজেরাই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন দুই ব্যক্তি। আর্থিক লেনদেনের বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাদিকুর রহমান নামের স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির পক্ষের এক আত্মীয়ের আর্থিক লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে পরিকল্পনা করা হয় সাদিকুরকে মাদকের মামলায় ফাঁসানোর। পরিকল্পনা অনুযায়ী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোশাহীদ আলী (৩০) ও কুলাউড়া পৌর শহরের দক্ষিণ জয়পাশা এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা বেগম (৩৩) পুলিশকে জানান, সাদিকুরের বাড়িতে মাদক ও জাল টাকা রয়েছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের এড়ালিগুল গ্রামের সাদিকুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানে অংশ নেন মোশাহীদ ও তাসলিমা।
অভিযানের একপর্যায়ে মোশাহীদ তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে একটি পলিথিনের প্যাকেট বের করে ঘরের মেঝেতে ফেলার চেষ্টা করলে তা পুলিশের নজরে আসে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে আটক করে। পরে প্যাকেট থেকে ৩০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাসলিমা দ্রুত সরে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁর পিছু নেয়। পালানোর সময় তাসলিমা অটোরিকশা থেকে লাফ দিলে সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরে তাঁকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া বাদী হয়ে মোশাহীদ ও তাসলিমাকে আসামি করে মামলা করেন। শনিবার বিকেলে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশাহীদ ও তাসলিমা দুজনেই স্বীকার করেছেন যে তাঁরা মিলে সাদিকুরকে মাদকের মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।
তিনি আরও জানান, মোশাহীদকে আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাসলিমা বেগম।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।