দর্পণ নিউজ ডেস্ক।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকার ৫৯৭ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমবার রাত ৯টার দিকে স্বপ্নাকে গুলশান থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান ছিল। গুলশান থানার একটি জুলাই হত্যা মামলার ৬২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি স্বপ্না (মামলা নম্বর-২৮)।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরও থানা-পুলিশ ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন স্বপ্না।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, স্বপ্না আক্তার ক্যান্টনমেন্ট থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় তিনি মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে বহুল পরিচিত। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে অবৈধ পথে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, স্বপ্না আক্তারের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় জুলাই হত্যা মামলা (মামলা নং ২৮, ২৫-০৪-২০২৫), মিরপুর মডেল থানায় (মামলা নং ৪৫/৪৫, ২৫-০১-২০২৫), পল্লবী থানায় (মামলা নং : ১৪৬/২০২৫ সিআর, ১০-০১-২০২৫), পল্টন থানায় (মামলা নং : সিআর ৭০৪/২০২৫), উত্তরা পশ্চিম থানা (সিআর মামলা নং ৮৬০/২০২৫, ২২-০২-২০২৫), ক্যান্টনমেন্ট থানা (মামলা নং ০৩, ২০-০৫-২০২০), ক্যান্টনমেন্ট থানায় মাদক মামলা (মামলা নং ০৬, ০৬-১১-২০১৯) রয়েছে।
এ ছাড়া কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হিসেবে পরিচিত এই স্বপ্না আক্তার। রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় ফখরুলের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ফখরুলের মালিকানাধীন জায়গায় একটি হোটেলও বানিয়েছেন স্বপ্না।
গত ১৬ বছরে ফখরুলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে লেডি ডন হয়ে ওঠেন স্বপ্না আক্তার। জমি দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে মাটিকাটা এলাকায় স্বপ্নার আছে নিজস্ব অস্ত্রধারী গ্যাং।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।