নিউজ ডেস্ক। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক শত্রুতার জেরে ছয় বছরের শিশু তায়েবাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন তার আপন চাচি স্কুলশিক্ষক আয়শা খাতুন।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসপি নজরুল ইসলাম।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশু তায়েবা। খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হলে পরিবার সখিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দুই দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার ছৈয়ালকান্দি গ্রামে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তায়েবা ওই গ্রামের টিটু সরদারের মেয়ে এবং স্থানীয় দারুন নাজাত মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মূল অভিযুক্ত আয়শা খাতুন সখিপুর সরকার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং নিহত তায়েবার আপন চাচি।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ-সমাবেশ, মানববন্ধন ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।