1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুই হাত নেই, তবুও পা দিয়ে লিখছে মৌলভীবাজারের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী হিয়া। এআই অভিনেত্রীর আত্মপ্রকাশে হলিউড শিল্পী সংগঠনের নিন্দা বিশ্ব পর্যটন দিবসে বাংলাদেশি পর্যটকের বাস্তবতা পুরুষেরা কেন নারীর চেয়ে কম বাঁচেন—নতুন গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য মৌলভীবাজারে বন বিভাগের আওতায় চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এই সব কটি বাঁশমহাল বর্তমানে ইজারাবিহীন। কুলাউড়ায় পানের গাছ কেটে বিনষ্ট: প্রশাসনের অভিযান কুলাউড়ায় আত্মহত্যা করলেন সৈকত দেবনাথ মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নির্বাচনে নতুন চমক! প্রার্থী হতে পারেন সাবেক এমপি এম এম শাহীন শিশু তায়েবাকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন স্কুলশিক্ষক চাচি: পুলিশ সুপার কুলাউড়া গাজিপুর চা বাগান পূজা মান্ডবে নবমীতে দর্শনার্থীর ঢল, নিরাপত্তায় প্রশাসনের ব্যাপক উদ্যোগ

মৌলভীবাজারে বন বিভাগের আওতায় চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এই সব কটি বাঁশমহাল বর্তমানে ইজারাবিহীন।

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার।

দরপত্র আহ্বান করা হলেও নেওয়ার লোক পায়নি বন বিভাগ।

চুরি করা যায় বলে কেউ ইজারা নিতে চায় না: পরিবেশবিদ

বাঁশ পরিমাপ করে ইজারা দেওয়া হবে: বন কর্মকর্তা

মৌলভীবাজারে বন বিভাগের আওতায় চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এই সব কটি বাঁশমহাল বর্তমানে ইজারাবিহীন। যদিও একসময় সেসব ইজারা দেওয়া হতো। রাজস্ব আদায় হতো কোটি টাকা। কিন্তু এবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও নেওয়ার লোক পায়নি বন বিভাগ। এ সুযোগে নির্বিচারে লুট হচ্ছে বনের বাঁশ ও বেত। বন বিভাগ বলছে, ইজারাদারেরা সরকারি দরপত্রের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মূল্য হাঁকিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে রাখেন। এ কারণে ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না।

পরিবেশকর্মীরা বলছেন, একসময় মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার বাঁশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হতো। বৈধভাবে বাঁশমহাল ইজারা দেওয়া হতো। এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হতো। তবে কয়েক বছর ধরে বাঁশমহাল আস্তে আস্তে ইজারা দেওয়া কমে গেছে। চলতি বছর একটি মহাল কেউ ইজারা নেয়নি। মহালে পর্যাপ্ত বাঁশ না থাকায় এ পরিস্থিতি বলে জানান তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় রেঞ্জ হচ্ছে রাজকান্দি। এই রেঞ্জে লেওয়াছড়া, চম্পারায়, বাঘাছড়া, ডালুয়াছড়া, কুরমাছড়া, সোনারাইছড়া, সুনছড়া বাঁশমহাল রয়েছে। জুড়ী রেঞ্জে সুরমাছড়া, রাগনাছড়া, পুটিছড়া, পূর্ব গোয়ালী, ধলাইছড়া, সাগরনাল, হলম্পাছড়া বাঁশমহাল রয়েছে। বড়লেখা রেঞ্জে লাটুছঠা, হাতমাছড়া, নিকুড়িছড়া, মাধবছড়া ও কুলাউড়া রেঞ্জের পশ্চিম গোগালী, ছোট কালাইগিরি, বেগুনছড়া, লবণছড়া ও বড় কালাইগিরি বাঁশমহাল—ইজারা না থাকায় এসব মহাল থেকে কোটি টাকার বাঁশ নির্বিচারে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। বনের ভেতর বাঁশমহাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম। এ সুযোগে বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশ কেটে বিক্রি করে ছড়ার পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজকান্দি রেঞ্জের ৭টি বাঁশমহালের বেশির ভাগ কেটে নেওয়া হয়েছে। ছোট থেকে বড়—সব ধরনের বাঁশ কাটার প্রমাণ রয়েছে। বাঁশের পরিত্যক্ত অংশ রেখে মূল্যবান অংশ বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এর মধ্যে রাজকান্দি রেঞ্জে ৭টি, জুড়ী রেঞ্জে ৭টি, বড়লেখা ৪ ও কুলাউড়া রেঞ্জে ৫টি বাঁশমহাল রয়েছে। এসব মহালে ৪০ হাজার ৫৫ একর বনভূমি বাঁশমহালের আওতায় রয়েছে। সিলেট বন বিভাগের আওতায় গত ২০ এপ্রিল ২০২৫-২৬ সালের জন্য বাঁশমহালের দরপত্র আহ্বান করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিলেট বন বিভাগের হালনাগাদ তালিকাভুক্ত কোনো মহালদার এই দরপত্রে সাড়া দেননি।

বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিগত বছরে মহালদারেরা প্রতিযোগিতা করে প্রতিটি বাঁশমহালের সরকারি দরপত্রের কয়েক গুণ বেশি দরপত্র হাঁকিয়েছেন।

পরে নিয়ম অনুযায়ী বাঁশমহালের মূল্য বেড়ে যায়। অনেকেই বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে দরপত্রে অংশ নিলেও ইজারা নেননি। আবার কিছু মহালে মামলার মাধ্যমে জটিলতা সৃষ্টি করা রাখা হয়েছে। গত বছর দুটি মহাল ইজারা দেওয়া হলেও এ বছর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আগে যেভাবে মহাল থেকে বাঁশ চুরি হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে এখনো বাঁশ চুরি হচ্ছে। এত বেশি পরিমাণে বাঁশ চুরি হয়েছে যে, এখন আর কেউ বাঁশমহাল ইজারা নিতে চান না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বনে বাঁশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁশ ও বেতমহালকে টিকিয়ে রাখতে হলে বন বিভাগকে এখনই শক্ত অবস্থানে যেতে হবে।

বাঁশমহালের কয়েকজন সাবেক ইজারাদার বলেন, ‘একটি বাঁশ আমরা ২০ টাকায় বিক্রি করি অথচ দরপত্রের মাধ্যমে দেখা যায় এই বাঁশ আমাদের ক্রয়মূল্য, বিক্রি মূল্যের চেয়ে বেশি। এ জন্য কেউ বাঁশমহাল ইজারা নিতে চান না।’

বাধা ছাড়াই বাঁশ চুরি করে বিক্রি করা যায়, এ জন্য কেউ ইজারা নিতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতির সালেহ সোহেল। তিনি বলেন, চুরি করে বাঁশ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ভ্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সময় থাকতে পদক্ষেপ না নিলে বন, বাঁশ, গাছ, বেতসহ বনের প্রাণী কিছুই পাওয়া যাবে না।

মৌলভীবাজার বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নাজমুল আলম বলেন, বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাঁশমহালগুলো ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না। বাঁশমহালে কী পরিমাণ বাঁশ আছে, তা পরিমাপ করছে ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগ। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর যেসব মহাল ইজারা দেওয়া যাবে, সেগুলো ইজারা দেওয়া হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট