স্টাফ রিপোর্টার। মৌলভীবাজারের পৃথক ৩টি স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে ২ যুবক গ্রেপ্তার ও ১ আনসার সদস্য আহত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে অভিযুক্তদের তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তার করা হয়।
কুলাউড়ায় সনাতন ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা, মৌলভীবাজার পৌর এলাকার সৈয়ারপুরস্থ আবাহনী পূজা মন্ডপে মাস্ক এবং ছুরিসহ প্রবেশ করা ও সদর উপজেলার চাঁদপুর শ্রী শ্রী জগজ্জননী পুজামন্ডপে ছবি তোলা নিয়ে হাতাহাতি ঘটনায় আনসার সদস্য আহত হয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কুলাউড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের গাজীপুর চা বাগানের শ্রমিক মো: দুলাল, পিতা: আলী হোসেনকে সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ফেসবুকে কটুক্তিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর চা বাগানের মুসলিম চা শ্রমিক দুলাল সনাতন ধর্মকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে সার্বিক পরিস্থিত পর্যবেক্ষণ শেষে অভিযুক্ত দুলালকে তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তার করা হয়। তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তারের খবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফিরে আসে।
অপর দিকে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার সৈয়ারপুরস্থ আবাহনী পূজা মন্ডপে মাস্ক এবং ছুরিসহ নাসির মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে মাস্ক পরা এক যুবককে দেখে পূজা মন্ডপে দায়িত্বরত আনসার সদস্যের সন্ধেহ হলে তাকে আটক করা হয়। তাকে তল্লাশি করে সাথে একটি চাকু পাওয়া যায়। পরে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত নাসির মিয়া সদর উপজেলার গুজারাই (চাঁদনীঘাট) এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার বাবার নাম শফিক মিয়া। গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকায়।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদপুর শ্রী শ্রী জগজ্জননী পুজামন্ডপে ছবি তোলা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। পূজামণ্ডপের সেক্রেটারী শৈলেন বর্মনের আত্মীয় রনবর্মন ছবি তুলতে গেলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাকে বাঁধা প্রদান করে। এসময় পূজামণ্ডপে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কর্তব্যরত আনসার ও ভিডিপি সদস্য এপিসি গৌউছ মিয়া আহত হয়। পরে আহত আনসার সদস্যকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এর পেছনে কারো ইন্দন আছে কিনা।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।