স্টাফ রিপোর্টার। কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের ৫ম দফা বর্ধিত সময় পার হয় চলিত বছরের ৩০ জুন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এই বর্ধিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করেছে প্রায় ৬০ ভাগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী ২০২৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অবকাঠামোগত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে ট্রেন চলাচল উপযোগি করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জোরালো তাগিদ দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) চলমান কাজের অগ্রগতি ও ত্রুটি বিচ্যুতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) এমএ আকমল হোসেন আজাদ।এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান-সহ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এজিএম বি.আর শর্মা, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গালিব চৌধুরী, স্থানীয় উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ, স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) এমএ আকমল হোসেন আজাদ বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর এলাকার চলমান রেললাইনের সংস্কার কাজ এবং সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা উন্নয়ন কাজের নানা ত্রুটি বিচ্যুতি তোলে ধরে তা সমাধানের এবং বৃটিশ আমলের গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনটিতে লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন, কুলাউড়া, বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী ইন্টারসিটি ট্রেন চালুর দাবি জানান। কাজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত প্রতিবেদন প্রদান করতে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন পরিকল্পনা সচিব সংস্কার।
পরির্দশনকালে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ জানান, এই রেলপথটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর এই সেকশনে চারটি লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও দুটি ইন্টারসিটি ‘ঢাকা থেকে শাহবাজপুর’ এবং ‘শাহবাজপুর থেকে ঢাকা’ ট্রেন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। রেল সেকশনটির উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।