স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌলভীবাজার ॥ মৌলভীবাজার আদালতের বারান্দায় প্রকাশ্যে বাদীপক্ষের ওপর আসামীপক্ষের মারমুখী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পক্ষ আদালতে নতুন একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৌলভীবাজার আদালতের বারান্দায়।
এ ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলার কৌলা চৌধুরী বাজার এলাকার মো. আতাউর রহমান (৬০), ফেরদৌসি রহমান (৫০), দক্ষিণ বাজার এলাকার মো. মাছুম আলম (৩৫), সোহেল আহমদ (৩৮), প্রতাপী এলাকার কামাল মিয়া (৫৫), দক্ষিণ বাজারের লিজা বেগম (৩০), জামাল মিয়া (৫৮) ও হালিমা বেগম নিপা-কে আসামি করে ভুক্তভোগী মো. আব্দুল মতলিব (৬০) গত ১৯ অক্টোবর তারিখে পিটিশন মামলা নং–২২৭/২০২৫ (কুলা) দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের আগামী ধার্য তারিখে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্ব থেকে মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছে। এর আগে চলমান আরেকটি পিটিশন মামলা নং–২০৬/২০২৫-এ আসামি পক্ষ “ভবিষ্যতে কোনো প্রকার শান্তিভঙ্গ করবেন না” মর্মে লিখিত জবাব দাখিল করে দায়মুক্তি পান।
তবে ঐ একই দিনে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে বাদী পক্ষকে লক্ষ্য করে আসামিপক্ষ হুমকি দেয় ও বলেন, “মামলা দিয়ে কী হইছে? একদিনেই শেষ, এখন তোদের মামলা করার সাদ মিটাইয়া দিমু।”
এসময় আদালতের বারান্দায় উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী মো. আব্দুল মতলিব বলেন, “ঘটনাস্থল আদালতের বারান্দা এবং এটি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। ফুটেজ দেখলেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।” তিনি আরও জানান, তার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এর আগেও ১২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুলাউড়া ভাঙ্গারিপট্রি এলাকায় তার ছেলের ওপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনি কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং–৩৪৬৯, তারিখ : ১২/০৮/২০২৫) করেন।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি আদালত প্রাঙ্গণের মতো সংবেদনশীল স্থানে ঘটায় আইনজীবী মহলে এর তীব্র সমালোচনা চলছে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।