
কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরীশংকর গ্রামের গর্বিত কন্যা আয়মুন নাহার সিদ্দিকা লিপি ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি বিচারপতি কাজী জিনাত হক এর সাথে একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে দায়িত্ব পালন করছেন।
আইন অঙ্গনে নারীর অবদানের ধারাবাহিকতায় কুলাউড়া উপজেলার ইতিহাস উজ্জ্বল। ১৯৭৪ সালে মহিলা বিচারক হওয়ার আইন বলবৎ হওয়ার পর, ১৯৭৫ সালের ২০ নভেম্বর নাজমুন আরা সুলতানা দেশের প্রথম মহিলা মুন্সেফ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সেই ধারাবাহিকতায় কুলাউড়ার আরেক আলোকিত কন্যা লিপি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়ে গৌরব যোগ করেছেন।
আয়মুন নাহার সিদ্দিকা লিপি বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী তালুকদার আয়ুব আলী সিদ্দিকীর কন্যা। বংশ সূত্রে তিনি ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি গ্রামের বড়বাড়ির সন্তান। তিনি পড়াশোনা করেছেন সিলেটের অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (১৯৮৩), সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ (প্রাইভেট), সিলেট এমসি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ঢাকা “ল” কলেজ থেকে এলএলবি। ২০০০ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সনদ লাভ করেন।
কর্মজীবনে দীর্ঘ অবদানের পর, ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট লিপি ডেপুটি এটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়ে কুলাউড়ার নাম উজ্জ্বল করেছেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই অর্জন কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং কুলাউড়া উপজেলার নারী ও শিক্ষিত তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার নিদর্শন। লিপির এই সাফল্য স্থানীয়দের মধ্যে গর্ব এবং উৎসাহের উদ্রেক করেছে। লেখক ওয়াহিদ মুরাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।