1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাস খান: তিন যুগের রাজনীতিতে নির্লোভ এক ব্যক্তিত্ব সংসদ নির্বাচন ২০২৬: কুলাউড়ার আলোচনায় মেজর (অব.) নুরুল মান্নান চৌধুরী (তারাজ) কুলাউড়ার কৃতী সন্তান ডা. শফিকুর রহমান : রাজনীতি ও নেতৃত্বের এক প্রতিচ্ছবি কুলাউড়ার আলোকিত কন্যা: বিচারপতি আয়মুন নাহার সিদ্দিকা লিপি হাইকোর্টে নিযুক্ত কুলাউড়ার গর্ব: বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা কুলাউড়ার ইউএনও মহিউদ্দিনের কর্মদক্ষতায় বদলে যাচ্ছে প্রশাসন হামাগুড়ি দিয়ে কলেজে যেতেন মনা, এখন অর্থাভাবে স্নাতকে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা কুলাউড়ায় পল্টন হত্যা দিবস উপলক্ষে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত সিলেটের সন্তান এম.এ.জি. ওসমানী: মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতির অহংকার কুলাউড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা — পিকআপ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

কুলাউড়ার কৃতী সন্তান ডা. শফিকুর রহমান : রাজনীতি ও নেতৃত্বের এক প্রতিচ্ছবি

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

১৮৭২ সালে ডা. শফিকুর রহমানের বাড়ি হতে ৩০০ মিটার পশ্চিমে চার খানা তাম্রফলক পাওয়া যায়, এগুলো সিলেট তথা বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের প্রামান্য দলিল।ফলকগুলো হযরত ঈসার জন্মের আগের লেখা মতান্তরে একাদশ দ্বাদশ শতকের লেখা। এর দুটো আছে কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে দুটো আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। তাম্রফলক গুলোর বণনা মতে এখানের রাজারা ছিলেন প্রতাপশালী, জগৎ বিখ্যাত। সেই রাজ্য বা রাজ পরিবারের উত্তরসুরীরা এই এলাকার স্থানীয় জনগণ।

১৯৫৮ সালের ৩১শে অক্টোবর ডা. শফিকুর রহমানের জন্ম কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের তুলাপুর গ্রামে। পিতার নাম আবরু মিয়া মাতার নাম খাতিবুন নেছা।

গ্রামের স্কুল থেকে লেখাপড়া শুরু। ১৯৭৪ সালে বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, ১৯৭৬ সালে সিলেট এম সি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করেন।

রাজনৈতিক জীবনের শুরু লেনিন আর কারলমারকসের প্রণীত সুত্র অনুসরণ কারী জাসদ ছাত্রলীগের বিপ্লবী চেতনায়। ধরমো আফিমের মতো নেশা, এটা ছিলো সেই স্রস্টাদের মতবাদ। “জামাত শিবির রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়,দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বাংলার ইহুদি” এটাছিলো তাদের মূল স্লোগান। ১৯৭৩-৭৪সাল ছিলো জাসদের যৌবন কাল। সিলেট ছিলো জাসদ ও ছাত্রলীগের শক্ত ঘাটি। সেই দল ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শফিকুর রহমান শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তাও একা নন, নিজের বেশ কিছু অনুসারী নিয়ে। শিবির করেছেন দাপটের সাথে। শিবিরকে ছাত্রলীগের প্যারালাল সংগঠনে গড়ে তুলেছিলেন। আজকের শিবির ডা. শফিকুর রহমানদের ত্যাগের ফসল।

১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের মেডিকেল শাখার সভাপতি এবং পরবর্তীতে সিলেট জেলা শাখার সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে জামায়াতে যোগদান করে সিলেটের আমীর হন। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল৷ ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৬ সালে সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৯ থেকে অদ্যাবধি জামায়াতের আমীর।

তিনি জামায়াতের আমীর হবার পর থেকে তার চিন্তা চেতনা, কথা বলার ভংগিমা, যুক্তিপ্রদর্শনের ক্যারিশমা, ভবিষ্যত জামায়াতের পরিকল্পনা, তাদের দলের লোকদের রাজনীতির পাশাপাশি রোজগারের পথে লাগানো, শিবিরদেরকে ছাত্রলীগের পালকপুত্র বানানো, শিক্ষিত শিবিরদের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পদে চাকুরী পাবার ব্যবস্থা করে দেয়া, দলের ভিত্তি মজবুত করা এসব তারই পরিশ্রমের ফসল। যে কারনে হাসিনার মাথা ব্যাথার কারন হয়েছিলেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি তার দল জামায়াত আর শিবির।

বহুবার জেল খেটেছেন, নাজেহাল হয়েছেন কিন্তু কেহই তাকে দমাতে পারেনি৷ তিনি এক অপরাজেয় সৈনিক।

জামায়াত ধরমান্ধ, এই অপবাদ থেকে তিনি দলকে বের করে এনেছেন। সারা বাংলাদেশে এখন জামায়াত শিবিরের জয়জয়কার। বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র সংসদের নিরবাচনে শিবিরের জয় নতুন এক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। মানুষের মনে পরিবর্তনের যে হাওয়া বইছে যদি জামায়াত শিবির তা ধরে রাখতে পারে তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা একাই সরকার গঠন করতে পারবে বলে অনেকের ধারণা।

জুলাই ২৪ এর আন্দোলনের মুল পরিকল্পনাকারী ডা. শফিকুর রাহমান ও জামায়াত। হাসিনা তা আগেই বুঝতে পেরে তাদের দলকে নিসিদ্ধ করেছিলো, নেতাদের জেলে ভরেছিল।

আগামী দিনে আমরা কুলাউড়াবাসী আমাদের এই সজ্জনকে প্রধানমন্ত্রী অথবা বিরোধী দলীয় নেতা হিসাবে দেখার আশা করি। আমরা বিভিন্ন দল মতের অনুসারী হতে পারি কিন্তু ডা. শফিকুর রহমানের বেলা আমরা অভিন্ন। কারণ আমরা কুলাউড়াবাসী বাংলাদেশ হবার পর থেকে একজন মন্ত্রী পাইনি । রাজনৈতিক যোগ্য নেতা এবং অসংখ্য আমলা ছিলেন কিন্তু কেহ মন্ত্রী হতে পারেন নি। লেখক ওয়াহিদ মুরাদ

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট