
আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কুলাউড়ায় যে নামটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে—তিনি হলেন মেজর (অব.) নুরুল মান্নান চৌধুরী।
আচার-আচরণে অতি সাধারণ, চলনে-বলনে বিনয়ী ও বন্ধুসুলভ এই মানুষটি রাজনীতির মূল স্রোতে না থেকেও জনগণের ভালোবাসা অর্জন করেছেন নিঃস্বার্থ মানবিকতা আর আন্তরিকতার জন্য।
কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারে জন্ম নেয়া মেজর নুরুল মান্নান চৌধুরী (ডাকনাম “তারাজ”) মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী ওরফে জুবেদ চৌধুরী-র পুত্র। তাঁর মা-ও ছিলেন একজন লেখিকা; প্রকাশিত একটি গ্রন্থ তাঁর সাহিত্যপ্রেমের সাক্ষ্য বহন করে।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
তিনি ছিলেন মেধাবী ছাত্র, ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা শেষ করে যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে, যেখানে তিনি মেজর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠা করেন “সিকিউরিটি লিংক” নামের একটি সফল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সংস্থার সদ্য প্রাপ্ত সদস্য। তাঁর লেখালেখির প্রতিভাও প্রশংসিত — ইতোমধ্যে কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে তিনি একজন চিন্তাশীল ও গবেষণামুখী মানুষ।
মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক:
রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যতিক্রমী। এলাকার মানুষ তাঁকে চেনে মানবিক, সহানুভূতিশীল ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে।
বিপদে-আপদে, সুপারিশ বা সহায়তায় অনেকেই তাঁর দ্বারস্থ হন — আর তিনি কখনো কাউকে নিরাশ করেন না। মসজিদ, মাদরাসা ও সামাজিক কাজে দান করেন অকাতরে, কিন্তু জনপ্রতিনিধি হবার লোভে নয়, বরং মানুষের কল্যাণের তাগিদে।
জনমত ও প্রত্যাশা:
জনজরিপে দেখা যাচ্ছে, কুলাউড়ার মানুষের আশা ও আস্থা এখন তাঁর প্রতিই বেশি।
সাধারণ মানুষের অভিমত—
“আমাদের কুলাউড়ার মানুষ বড় দুঃখী, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা কোনো মন্ত্রী পাইনি। এখন যারা নমিনেশন পাবে বলে শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই সেই যোগ্যতা নেই। তাই যদি মেজর (অব.) নুরুল মান্নান চৌধুরী সাংসদ হন, আমরা কুলাউড়ার ভাগ্য বদলের আশা করতে পারি।”
✍️ লেখক: ওয়াহিদ মুরাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।