1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজার -২,কুলাউড়া সংসদীয় আসন পরিবর্তনের পর তা ডাঃ জুবায়দার প্রতি উৎসর্গ করবো …..সিলেট বিভাগবন্ধু আবেদ রাজা কুলাউড়ায় ১শ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি: ভারত সীমান্তবর্তী কর্মধায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে : ২ জনের মৃত্যু পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও “ডন” পত্রিকার সম্পাদক কুলাউড়ার আলতাফ হোসেন দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত “দুই সেতুর ঝুঁকিতে হাজারো মানুষের জীবন—ভবানীপুর ও লক্ষীপুরে জরুরি সংস্কারের দাবি” জুড়ীতে স’মিল ৩ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া বিল নিয়ে মালিকের নাটকীয় কাণ্ড কুলাউড়ার গৌরব ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী: সংগ্রাম, রাজনীতি ও রাষ্ট্রগঠনের এক জীবন্ত ইতিহাস কাতার যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: কুলাউড়ার তরুণীর মৃত্যু, আরেকজন লাইফ সাপোর্টে কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি

৭১ এর স্মৃতি- পর্ব ৩৭ (কুলাউড়া -২ )

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

৭১ এর স্মৃতি- পর্ব ৩৭ (কুলাউড়া -২ )

আমি অতি সাধারন একজন লেখক , স্মৃতির সাগর থেকে তুলে এনে কিছু কথা , আনন্দ , বেদনা লিখে যাচ্ছি ।

ছোটবেলায় কখনই ভাবিনি বড় হয়ে সেই ছোটবেলার কথা লিখে নিজেকে লেখক হিসাবে আবিষ্কার করবো । করোনা কালিন সময়ে হটাৎ মনে হলো কিছু লিখি , শুরু করে দিলাম , তখন বেশ কয়েকটি ছোট গল্প লিখেছিলাম যা বিভিন্ন স্থানে , পেইজে প্রকাশ করার পর লোকনাট্যদলের আজাদ রহমান নামের আমার প্রিয় এক ছোট ভাইের পক্ষ থেকে “ বিশ শব্দের গল্প “ নামক একটি গ্রুপে গল্প লেখার দাওয়াত পাই , এবং সেই দাওয়াত মোতাবেক ঐ গ্রুপে গল্প লেখা শুরু করি , সেখানেও ৭০০ এর উপর “ বিশ শব্দের গল্প” লিখেছি যার ভিতর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পাঁচশোরও বেশি গল্প রয়েছে । এত গল্প লিখেছি শুনে একদিন এক কবি বন্ধু , চৌধুরী নুরুল হুদা কিছুটা ভৎসর্না ছলে বললো “ বিশ শব্দে কি আবার কোন গল্প হয় ? সে অনুরোধ করলো বড় করে যা খুশি লিখতে , তা যেভাবেই হোক , সেটা বা সেই গল্প যেন ২০০০-২২০০ শব্দে হয় ।তার পর থেকেই চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং আমরার “সিলোটি আড্ডা নামক “ একটি ফেইসবুক গ্রুপে বড় বড় লেখা লিখতে শুরু করলাম , লেখাগুলো একটু বড় হচ্ছে বলে কোন কোন পাঠকের অসন্তুষ্টি যে হয় না , তা কিন্তু নয় তবে অধিকাংশ পাঠকেরাই বড় লেখা পড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং মন্তব্য ও করেছেন “ তোমার লেখা তো অনেক বড় হয় , আমরা তো পড়তেই ধৈর্য্যহারা হয়ে উঠি , তুমি এত বড় বড় পর্ব বড়লেখার ধৈর্য্য পাও কৈ ?

আমি নিজেও জানি না কি করে পাই আমি এত বড় বড় লেখার ধৈর্য্য !!তবে এটা ঠিক লিখতে লিখতে কোন এক সময় একটা কিছু হয়ে যায় , যার জন্য

শুকরিয়া জানাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট , তিনি আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করছেন ।তাইতো ভুলতে পারি না ছোটবেলার সেই মধুর দিন গুলোর কথা ।

যাই বলেন না কেন “ ছোটবেলার সেই দিনগুলো কি সহজে ভোলা যায় ?

আবারও মনে পড়ছে কুলাউড়ার কথা , ১৯৭১ সালে এই কুলাউড়া গার্লস স্কুলে পাকিরা ক্যাম্প করেছিল , তখন আঁশে পাশের বাড়ী ঘর গুলোতে যারা সাহস করে রয়ে গেছিল তাদের মধ্যে আমাদের নানা বাড়ী অর্থাৎ উছলাপারা খান সাহেবের বাড়ী উল্লেখযোগ্য , আঁশে পাশের অনেক পরিবারই তখন আস্রয় নিয়েছিল দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় , তাদের দুর্বিসহ জীবন যাপনের কথা মনে হলে শীহরীত হই ,তাইতো বার বার ঘুরে ফিরে সেই সময়ের কথা মনে পরে , মনে পরে রামগোপাল ফার্মেসীর কথা , রসেন্দ্র কুমার ভট্টের কথা । রসেন্দ্র কুমার ভট্টের সাত মেয়ে ছিল এবং এর বাইরে তিনি এক মেয়েকে পালক এনেছিলেন , যার নাম ছিল খুকু , খুকুকে তিনি নিজের মেয়ের মতই আদর করতেন । বিয়ে দিয়েছিলেন আরান ভট্টাচার্য নামে কমলগঞ্জের মুন্সী বাজারের একজন শিক্ষকের নিকট । তিনি অবশ্য কুলাউড়া গার্লস স্কুলে সংস্কৃত পড়াতেন , সকলেই তাকে পন্ডিত স্যার বলেই জানতো ।তাকে উত্তর বাজার এলাকায় একপোয়া জমি কিনে বাসা করে দিয়েছিলেন ভট্ট বাবু ।ভট্ট বাবুর আর একটি পালক পুত্রও ছিল যার নাম ছিল মনেন্দ্র নাথ ।

আমাদের বাড়ীর পুর্বদিকে ফুটবল খেলার মাঠের দক্ষিন কোনে একটি খাই বা ডোবা ছিল , সারা বছর কচুরীপানায় আবৃত থাকতো , সেই খাই এর পুর্বে একটি বাসা ছিল , যেখানে থাকতেন শাকিলা আপা , উনার ছেলের নাম ছিল লিটন , শাকিলা আপা ছিলেন একজন অত্যান্ত্য সুন্দর মনের শিক্ষিকা একটু লম্বাটে এবং শ্যামলা কালো ,তিনি ও যতেষ্ট গাম্ভির্য্য ও আত্ব প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষকতা করতেন । প্রধান শিক্ষিকা হওয়ার যতেষ্ঠ সক্ষমতা ও সম্ভাবনা ছিল শাকিলা আপার । উনার বাসার পুর্বে রেল লাইন সংলগ্ন একটি ছিমছাম বাসা ছিল । যা হলো লুবনা আপাদের বাসা , শিপলু নামে লুবনা আপার একটি ভাই ছিল যার সাথে আমার সখ্যতা ছিল অনেক ।

শাকিলা আপাদের বাসার দক্ষিনে আর একটি বাসা ছিল যা হলো লাইলী আপা এ লিলি আপাদের বাসা ওদের বাসাটিও অনেক সুন্দর পরিপাটি ছিল ।রেল লাইনের দিকে মুখ করা একটি বারান্দা ছিল , যে বারান্দায় গোল গোল দুটি বেতের চেয়ার ছিল । দুই বোনই খুবই সুন্দরী ছিলেন । , লাইলী আপা খুউব সুন্দর করে শাড়ী পড়তেন ।উল্লেখ্য উনাদের বাবা লন্ডনে থাকতেন । উনাদের ভাইয়ের কথা মনে আছে উনার নাম ছিল শিপার ।( চলবে)

(তথ্য স্বরণ ও কৃতজ্ঞতায় – আলেয়া আপা )

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট