
স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, জেলার সভাপতি, বিশিষ্ট আলেম, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী জননেতা মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে।
দলের আমির পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম সম্প্রতি কুলাউড়া সফরে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর থেকেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।
গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মাওলানা কুদ্দুস।
প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গণসংযোগ, পথসভা, দোয়া মাহফিল ও মতবিনিময় সভা করে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রতীক ‘হাতপাখা’ নিয়ে তিনি জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন দলের মূল বার্তা — “ইসলামী শাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার প্রচারণা শুধু ধর্মীয় বা দলীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নয়; বরং সাধারণ ভোটার, তরুণ সমাজ, ব্যবসায়ী, কৃষক ও শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যেও তার প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেখা যাচ্ছে।
এক পথসভায় মাওলানা কুদ্দুস বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই যেখানে দুর্নীতি, মাদক ও অন্যায়ের স্থান থাকবে না। ইসলামী মূল্যবোধ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি স্বচ্ছ প্রশাসন প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।”
দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীসভা, লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং ও গণসংযোগ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, “ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামী আন্দোলন কাজ করছে। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে পারবেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।”
জনপ্রিয়তা বাড়ছে মাঠ পর্যায়ে।
কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে মাওলানা কুদ্দুসের নাম এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ধর্মীয়, সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততার কারণে তাঁর একটি দৃঢ় জনভিত্তি গড়ে উঠেছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, “মাওলানা কুদ্দুস একজন সৎ, নির্লোভ ও শিক্ষিত ব্যক্তি। সমাজসেবা ও ইসলামি শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি সুযোগ পেলে কুলাউড়ার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।”
একজন শিক্ষক জানান, “রাজনীতিতে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সততার প্রয়োজন আছে। মাওলানা কুদ্দুস সেই গুণাবলি ধারণ করেন। তরুণ সমাজকে নৈতিক পথে ফিরিয়ে আনতে তিনি সক্ষম।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার।
প্রচারণার সময় মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কুলাউড়ার সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন, মাদক ও বেকারত্ব দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, “রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতার নয়, এটি দায়িত্ব ও সেবার বিষয়। জনগণের ভালোবাসা ও ইসলামী আদর্শের আলোয় একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই আমার লক্ষ্য।”
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, “কুলাউড়ার জনগণ ‘হাতপাখা’ প্রতীকে ভোট দিয়ে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবেন এবং আমাকেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।”
বিশ্লেষকদের অভিমত।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসলামী আন্দোলনের সক্রিয় মাঠতৎপরতা কুলাউড়া আসনের নির্বাচনী সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী ও তরুণ ভোটারদের সমর্থন পেলে মাওলানা কুদ্দুস আসন্ন নির্বাচনে এক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।