
স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপি মৌলভীবাজার -২ (কুলাউড়া) আসনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর এবার দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় উৎফুল্ল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলাউড়ায় ধানের শীষের প্রার্থী মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকুকে হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনতা বরণ করে নেন। ঐতিহ্যবাহী কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠ মিছিলে মিছিলে সরগরম হয়ে ওঠে। ঢাকা থেকে সড়কপথে কুলাউড়ার প্রবেশধার লোহাইউনি চা বাগান থেকে পাঁচশতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও গাড়ীবহর নিয়ে মিছিল সহকারে শওকতুল ইসলাম শকুকে বরণ করে নেওয়া হয়। পথসভাটি একপর্যায়ে জনসভায় পরিণত হয়। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজলের পরিচালনায় সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু বলেন, বিএনপি একটি বিশাল দল। আমরা খালি মাঠে গোল করতে চাই না। বিনাভোটে ১৫৩ আসন জয়ী হতে আসি নি। ভোটের মাধ্যমে জয়ী হতে চাই। প্রিয় কুলাউড়াবাসী আমি নতুন কোন প্রার্থী নয়। ২০০৮ সালেও আমাকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে দলে সদ্য যোগদানকারী আবেদ রাজাকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিলে আমি তার সাথে কাজ করেছি। এবার দলের তৃনমূল থেকে সর্বমহলে আমার প্রার্থীতার বিষয়টি আলোচিত ছিলো। তাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাঠ জরিপের ভিত্তিতে আমার উপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা, চা- শ্রমিকদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন, বিদ্যুতের উন্নয়ন, হাকালুকি হাওরের উন্নয়ন, রেল ও সড়কপথের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবো। আমার বিশ্বাস কুলাউড়াবাসী ধানের শীষের পক্ষে রায় দিয়ে এই আসনটি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল জামাল, বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান মনির, এম এ মজিদ, শামীম আহমদ চৌধুরী, কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, আব্দুল মুক্তাদির মনু, কাওসার আরিফ, হারুনুর রশীদ, ফয়জুর রহমান গোলাম, শামীম আহমদ, নুরুল ইসলাম ইমন, কৃষকদল নেতা আব্দুল করিম কালা, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মূসা আহমদ সুয়েট, স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব গিয়াস মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুল ইসলাম আতিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, ময়নুল হক বকুল, দেলোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক মুহিবুর রহমান মলাই, যুগ্ম আহবায়ক অলিউর রহমান চৌধুরী শিপলু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জুবের আহমদ খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাওসার আহমদ নিপার, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মুহিত বাবলু, কাদিপুর বিএনপির সভাপতি মোঃ মুক্তার, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম রাজু, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তানজিল হাসান খান, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু বলেন,
কুলাউড়ার উন্নয়ন প্রসঙ্গে শওকতুল ইসলাম শকু বলেন, আমি নির্বাচিত হলে শহরের প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, কুলাউড়া হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, শহরের ভেতরের বাসস্ট্যান্ডকে শহরের বাইরে স্থানান্তর, পৌরসভার বর্জ্যব্যবস্থাপনা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রদক্ষেপ গ্রহণ, কুলাউড়ায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা, চা-শ্রমিকদের জন্য উন্নত বাসস্থান নিশ্চিতসহ চা-শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান, কুলাউড়ার অসমাপ্ত রাস্তা পাকাকরণ, হাকালুকি হাওরকে পর্যটন স্পটে রুপান্তরকরণ, সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেনচালুর ব্যবস্থাগ্রহণসহ কুলাউড়ার সার্বিক উন্নয়নে আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবো।
শওকতুল ইসলাম শকু বলেন, আমার দরজা সাধারণ জনগণের জন্য অতীতের ন্যায় খোলা থাকবে। যেকোন সমস্যা নিয়ে সরাসরি আমার কাছে আসার আহবান জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।