1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে নৌকাসহ ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় গরু জব্দ মৌলভীবাজারে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১ নাদেলের বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ, বিএনপি নেতাদের নিন্দা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু কুলাউড়ায় পৃথিমপাশা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ভোটের সিস্টেমটি নষ্ট করে দিয়েছে-ময়ূন! পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে ফের বুরহান উদ্দিন ময়েজ,সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত এডভোকেট আহমেদ উর রহমান মুরাদ কুলাউড়ার – জুড়ী ৪৪ বছরেও মাটির নিচেই পড়ে আছে ইউরেনিয়াম! রবিরবাজারে রাস্তার পাশে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ: দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের জামায়াতের আমিরের রোগমুক্তি কামনায় বিএনপি নেতা এডভোকেট আবেদ রাজা নিউ ইয়র্কে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের স্মরণে সড়কের নামকরণের দাবি — এড. আবেদ রাজা

শতবর্ষী করচের জলাবনে যেতে যেতে কত কী চোখে পড়ে

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাদিপুর গ্রামে সকালটা অন্য রকমভাবে আসে। এটি কাউয়াদিঘি হাওরপারের একটি গ্রাম। ওই গ্রামের পথ ধরে এগিয়ে গেলে সামনে পড়ে অন্তেহরি, এটি রাজনগর উপজেলার আরেকটি গ্রাম। অন্তেহরিও কাউয়াদিঘি হাওরের কোল ঘেঁষে শত বছর ধরে প্রাণ-প্রকৃতির অংশ হয়ে গেছে। বর্ষায় হাওরের উত্তাল ঢেউ সামলে এই গ্রামে মানুষের বাস। যত দূর চোখ যায় অবারিত রুপালি জলের ভাঁজ করা শীতলপাটি।

শীতে আরেক প্রকৃতি। দিগন্তজুড়ে শুধু বিস্তীর্ণ সবুজ। উড়ে যায় পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। এই অন্তেহরি গ্রামকে ছুঁয়ে শত বছরের পুরোনো করচগাছে নীরবে-নিভৃতে তৈরি হয়েছে এক টুকরা ‘জলাবন’। ওখানে জলে শরীর ডুবিয়ে পুরো বর্ষাটাই পার করে এই গাছেরা।

মৌলভীবাজার শহরতলির মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের চাঁদনীঘাট থেকে উত্তর দিকে একাটুনা-জগৎপুর হয়ে অন্তেহরির দিকে গেছে একটি পাকা সড়ক। অন্তেহরির ওই জলাবনের দিকে ‘যেতে যেতে পথে’ কাদিপুরে তখন মৌসুমি মাছের হাট জমে গেছে। এখানে হাটের মানুষ, ঘাটের মানুষ খুব বেশি না হলেও একরকমের প্রাণ আছে। কেউ রাতে কাউয়াদিঘি হাওর থেকে ধরা মাছ নিয়ে এখানে এসেছেন। কেউ এসেছেন পাইকারি দরে মাছ কিনে শহরে নিয়ে যেতে, কেউ গ্রামে গ্রামে ফেরি দিয়ে ওই মাছ বিক্রি করবেন। কিছু ক্রেতাও আছেন, যাঁরা হাওরের টাটকা মাছ কিনতে এখানে ছুটে এসেছেন।

একটা স্বল্পস্থায়ী হাট জমে কাদিপুরের ওই স্থানে। কারও ডোলায় চিংড়ি মাছ, কারও ডোলায় পুঁটি–টেংরাসহ বারো জাতের মাছ। কারও ডোলায় শিং-মাগুর, চ্যাং, কৈ, ভেদা, নানা রকম গুঁড়া মাছ।

কাদিপুর থেকেই অন্তেহরি গ্রামের শত বছর বয়সী করচগাছগুলোকে চোখে পড়ে। সেই কবে গাছগুলো এখানে মাথা তুলতে শুরু করেছিল, তা বলার মতো কেউ আর বেঁচে নেই। স্থানীয় মানুষেরা জানেন, তাঁদের বাপ-দাদারাও যেমন এই গাছগুলো দেখে গেছেন, এখন তাঁরাও দেখছেন। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, এই গাছ কেউ রোপণ করেনি। হাওরপারে প্রকৃতির আপন নিয়মে জলাভূমির অন্য সব গাছের মতো এরাও এখানে কোনো এক সময় শিকড় পুঁতেছে। তারপর ধীরে ধীরে বাতাসের বুকে ডালপালা মেলেছে। সেই যে সংসার পেতেছে তারা, এখনো আছে। আগে অনেক গাছ ছিল। নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অনেকটাই হারিয়ে গেছে। তারপরও সব কটা একেবারে বাস্তুহারা হয়ে পড়েনি।

এখনো বর্ষা এলে এই করচগাছগুলো এক টুকরা জলাবন হয়ে ওঠে। বৈশাখের সময় থেকে কাউয়াদিঘি হাওরে পানি বাড়তে থাকে, তখন হাওর ভরা অবাধ জলের থইথই। তখন করচের গাছগুলো পানির তলায় ডুবতে থাকে। পানি যত বেশি, তাদের শরীরও ততই ডুবে। অনেকেই একপশলা শান্তির সন্ধানে ওই জলাবনের কাছে কখনো দুপুর, কখনো বিকেলের সময়টিকে পার করতে ছুটে আসেন।

স্থানীয় লোকজন জানালেন, এবার এই আষাঢ়েও কাউয়াদিঘি হাওরে খুব বেশি পানি হয়নি। অন্য বছর এই সময়ে যতটা পানি হতো, এবার তার চেয়ে অনেক কম পানি হয়েছে। কিছু কিছু করচগাছের গোড়া অনেকটা শুকনা মাটিতে ভেসে আছে। অন্য বছর এই সময়ে গাছগুলো সারা শরীর ডুবিয়ে থাকে, এবার এখনো সে রকম পানি হয়নি। তবে নৌকা নিয়ে জলাবনে ভেসে বেড়াতে কোনো সমস্যা নেই। ওখানে জলের সঙ্গে জলের খেলা চলছে। ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ কেউ শুনছে কি শুনছে না, ওখানে হাওর-জলের ইতিহাস সঙ্গে করে ‘জলাবন’ স্থির হয়ে থাকে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!