1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ মহাকাশ থেকে কি পৃথিবীর কোনো বিল্ডিং বা টাওয়ার দেখা যায়? আমাদের হুজুর ও আজকের কিশোর গ্যাং… ক্লাসের চঞ্চল শিশুরাই কি বেশি মেধাবী? একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি… মৌলভীবাজারে সেনাবাহিনী ও বিজিবি এর যৌথ অভিযানে ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু কুলাউড়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ রবিরবাজার-কর্মধা সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে কমলগঞ্জে বজ্রপাতে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু কুলাউড়ায় চা-বাগান থেকে রাতের আঁধারে গাছ চুরির হিড়িক ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম এর উদ্যোগে মানববন্ধন চলছে কুলাউড়া উত্তরবাজার ইসলামী ব্যাংকের সম্মুখে।

ক্লাসের চঞ্চল শিশুরাই কি বেশি মেধাবী? একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি…

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

ক্লাসরুমের সেই দুষ্টু, চঞ্চল বা যাকে আমরা ‘অস্থির’ বলি, সেই শিশুটিই অনেক সময় হয়ে ওঠে সবচেয়ে মেধাবী ও সৃষ্টিশীল। শান্ত, শিষ্ট ও চুপচাপ বাচ্চারাই বেশি বুদ্ধিমান—এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। বরং বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা যায়, চঞ্চলতার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে এক অত্যন্ত সক্রিয় ও প্রখর মস্তিষ্ক।

চঞ্চল দুষ্ট শিশুদের ব্রেইন

চঞ্চল শিশুর ব্রেইনে থাকে এক ধরনের হাই-স্পিড প্রসেসর। তাদের sensory system বা ইন্দ্রিয়গ্রাহক ক্ষমতা অত্যন্ত তীক্ষ্ণ; তারা শব্দ, আলো, মুখভঙ্গি বা ক্ষুদ্র পরিবর্তন দ্রুত ধরতে পারে। এসব তথ্য তাদের executive function মুহূর্তেই বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। এর ফলে তৈরি হয় একধরনের high cognitive arousal—যা প্রকাশ পায় অতিরিক্ত কৌতূহল, প্রশ্ন করা, পরীক্ষা করে দেখা বা নতুন কিছু সৃষ্টি করার প্রবণতায়।

যা আমরা অনেক সময় ‘দুষ্টুমি’ বলি, তা আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক প্রকাশ হতে পারে।

শান্ত শিষ্ট বনাম চঞ্চল: মেধার ভিন্ন রূপ

শান্ত শিশু গভীর মনোযোগে চিন্তা করে। কিন্তু চঞ্চল শিশু শিখে অনুসন্ধান ও পরীক্ষার মাধ্যমে। তারা নতুন উদ্দীপনা ও চ্যালেঞ্জে আনন্দ খুঁজে পায়। যখন শ্রেণীকক্ষের ছন্দ তাদের মানসিক গতির সঙ্গে মেলে না, তখন তাদের শক্তি ‘অস্থিরতা’ হয়ে প্রকাশ পায়। আসলে এটি একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অতিপ্রবাহ—যা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে সৃষ্টিশীলতায় রূপ নেয়।

তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন:

সব চঞ্চলতা কিন্তু মেধার চিহ্ন নয়। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এটি হতে পারে ADHD (Attention-Deficit/Hyperactivity Disorder)—একটি স্নায়ুবিক বিকাশজনিত অবস্থা, যেখানে মনোযোগ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা থাকে। এসব শিশুর জন্য দরকার বোঝাপড়া, পেশাদার মূল্যায়ন ও সহানুভূতিশীল সহায়তা—শাসন নয়।

চঞ্চল বা দুষ্ট দেখলেই বকাঝকা নয়:

পরের বার কোনো চঞ্চল শিশুকে দেখলে তাকে ‘দুষ্টু’ বলে বকাঝকা না দিয়ে তার কাজের প্রতি মনোযোগী হোন। তার ব্রেইন হয়তো একটি হাই-পারফরম্যান্স স্পোর্টস কার, যা সাধারণ গতিতে আটকে থেকে এবং অস্বস্তি বোধ করে।

হয়ত এই শিশুরাই হতে পারে আগামী দিনের বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক বা শিল্পী—যদি আমরা তাদের শক্তিকে সঠিক পথে চালনা করতে পারি। মেধা কেবল শান্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; অনেক সময় সেটি চঞ্চলতার মধ্য দিয়েই দীপ্ত হয়ে ওঠে।

ডা. সাঈদ এনাম

সহযোগী অধ্যাপক সাইকিয়াট্রি

ইন্টারন্যাশনাল ফেলো

আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট