1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ মহাকাশ থেকে কি পৃথিবীর কোনো বিল্ডিং বা টাওয়ার দেখা যায়? আমাদের হুজুর ও আজকের কিশোর গ্যাং… ক্লাসের চঞ্চল শিশুরাই কি বেশি মেধাবী? একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি… মৌলভীবাজারে সেনাবাহিনী ও বিজিবি এর যৌথ অভিযানে ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু কুলাউড়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ রবিরবাজার-কর্মধা সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে কমলগঞ্জে বজ্রপাতে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু কুলাউড়ায় চা-বাগান থেকে রাতের আঁধারে গাছ চুরির হিড়িক ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম এর উদ্যোগে মানববন্ধন চলছে কুলাউড়া উত্তরবাজার ইসলামী ব্যাংকের সম্মুখে।

মহাকাশ থেকে কি পৃথিবীর কোনো বিল্ডিং বা টাওয়ার দেখা যায়?

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের একেবারে উপরের দিকে যাওয়া বেশ রোমাঞ্চকর। প্রবাসী প্রিয় সাংবাদিক Mam Himu কে সাথে নিয়ে সেদিন দুরু দুরু বুকে টাওয়ারের চূড়ায় আরোহন করি। উপরের দিক থেকে পুরো প্যারিস দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু সব কিছুই ঝাপসা। নীচের মানুষ ও যানবাহন পিঁপড়ের ছোটাছুটির মতো, আলাদা করে বোঝা যাচ্ছিল না। সব ঝাপসা হলেও টাওয়ারের উচ্চতা প্রায় এক হাজার ফুট।

অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ বলছেন—হাজার কিলোমিটার উপরে মহাকাশযান থেকে নাকি চীনের প্রাচীর বা ভূপৃষ্ঠের কোনো পবিত্র স্থাপনা স্বচ্ছ, নিখুঁত ঝলমল করে দেখা যায়। এই দাবি কি আদৌ সঠিক?

নভোচারীদের অভিজ্ঞতা বলছে, এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মহাপ্রাচীর পাহাড়ের সঙ্গে মিশে যায়, আর শহরের স্থাপনাগুলোও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দুর মতো দেখায়। তাই খালি চোখে এসব স্থাপনা মহাকাশ থেকে দেখা অসম্ভব।

মহাকাশ থেকে পৃথিবী দেখতে এক জীবন্ত চিত্রের মতো লাগে—নীল সমুদ্র, সাদা মেঘমালা এবং সবুজ ভূমির সমন্বয় এটিকে করে তোলে অনন্য সুন্দর এক গ্রহ। কিন্তু সেই সৌন্দর্যের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট শহর বা স্থাপনা আলাদা করে চোখে পড়ে না।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পাঁচ স্তরে বিভক্ত—ট্রপোস্ফিয়ার (০–১২ কিমি), স্ট্রাটোস্ফিয়ার (১২–৫০ কিমি), মেসোস্ফিয়ার (৫০–৮৫ কিমি), থার্মোস্ফিয়ার (৮৫–৬০০ কিমি) এবং এক্সোস্ফিয়ার (৬০০ কিমি থেকে মহাকাশ পর্যন্ত)।

স্থানীয় যাত্রীবাহী ফ্লাইট সাধারণত ৫–৬ কিমি, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সর্বোচ্চ ১০–১২ কিমি উচ্চতায় উড়ে, অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের সীমায়। এই স্তরগুলোতে ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প ও আলো বিকিরণ দৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ফলে ক্ষুদ্র বস্তু দেখা যায় না।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) প্রায় ৪০০ কিমি উচ্চতায় লো-অর্থ অরবিটে অবস্থান করে। সেখান থেকেও কোনো ছোট স্থাপনা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। এছাড়া, স্যাটেলাইটগুলো সাধারণত ৪০০–২,০০০ কিমি উচ্চতায় লো-অর্থ অরবিটে থাকে; জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অনেক উপরে, প্রায় ৩৫,৭৮৬ কিমি, পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সমানভাবে ঘুরে।

সুতরাং কেউ যদি বলে “মহাকাশ থেকে কোনো ঘর বা স্থাপনার ছবি তোলা হয়েছে,” তা বিশ্বাস করা বড় রকমের বোকামী।

ডা. সাঈদ এনাম

সহযোগী অধ্যাপক সাইকিয়াট্রি

ইন্টারন্যাশনাল ফেলো

আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট