1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজার -২,কুলাউড়া সংসদীয় আসন পরিবর্তনের পর তা ডাঃ জুবায়দার প্রতি উৎসর্গ করবো …..সিলেট বিভাগবন্ধু আবেদ রাজা কুলাউড়ায় ১শ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি: ভারত সীমান্তবর্তী কর্মধায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে : ২ জনের মৃত্যু পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও “ডন” পত্রিকার সম্পাদক কুলাউড়ার আলতাফ হোসেন দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত “দুই সেতুর ঝুঁকিতে হাজারো মানুষের জীবন—ভবানীপুর ও লক্ষীপুরে জরুরি সংস্কারের দাবি” জুড়ীতে স’মিল ৩ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া বিল নিয়ে মালিকের নাটকীয় কাণ্ড কুলাউড়ার গৌরব ব্যারিস্টার মোন্তাকীম চৌধুরী: সংগ্রাম, রাজনীতি ও রাষ্ট্রগঠনের এক জীবন্ত ইতিহাস কাতার যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: কুলাউড়ার তরুণীর মৃত্যু, আরেকজন লাইফ সাপোর্টে কুলাউড়ার কাদিপুরের গৌরব: ক্ষীরোদ বিহারী সোম ও তাঁর উত্তরসূরি

কুলাউড়ার গর্ব: বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়ার প্রিথিমপাশা ইউনিয়নের ইউসুফসদর গ্রামে ১৯৫০ সালের ৮ই জুলাই জন্ম নেয়া এক মহীয়সী নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

তিনি ছিলেন দেশের প্রথম নারী মুনসিফ, প্রথম নারী জেলা জজ এবং প্রথম নারী আপিল বিভাগীয় বিচারপতি — অর্থাৎ, বাংলাদেশের নারী বিচার বিভাগের এক অগ্রদূত।

তার বাবা ছিলেন চৌধুরী আবুল কাশেম মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন এবং মা বেগম রাশিদা সুলতানা দ্বীন। মাত্র ১১ বছর বয়সে পিতৃহারা হলেও, শিক্ষিকা মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি এগিয়ে যান শিক্ষার আলোয়।

তার দাদা ছিলেন তৎকালীন আসাম প্রদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান সাদ উদ্দিন মোহাম্মদ আবু লেইস, যাঁর প্রভাবেও তিনি শিক্ষানুরাগী হয়ে উঠেন।

ময়মনসিংহের রাধা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে এসএসসি, ১৯৬৭ সালে এইচএসসি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে বিএসসি পাশ করেন।

১৯৭২ সালে মোমেনশাহী ল কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

সেই সময় স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের বিচারক হবার কোনো বিধান ছিল না। ১৯৭৪ সালে সরকার এ বিধিনিষেধ তুলে নিলে তিনি ১৯৭৫ সালের ২০ নভেম্বর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের প্রথম মহিলা মুনসিফ হিসেবে যোগ দেন।

এর মাধ্যমে শুরু হয় বাংলার নারীদের বিচার বিভাগে পদচারণার এক নতুন যুগ।

ক্রমে তিনি ১৯৮২ সালে সাব-জজ, ১৯৯১ সালে জেলা জজ, ২০০০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং অবশেষে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ২০১৭ সালের ৬ই জুলাই গৌরবোজ্জ্বল কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণ করেন।

এই মহান নারী শুধু কুলাউড়ার নয়, সমগ্র বাংলাদেশের গর্ব। তাঁর সাহস, মেধা ও নিষ্ঠা আজও সকল নারীর জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

ওয়াহিদ মুরাদ লিখেছেন:

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট