1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সচেতনতা জরুরি, দায়িত্ববোধ তার চেয়েও বেশি.. স্মরণ সভায় বক্তারা- কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন আবিদ হোসেন মাস্টার বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু নিউইয়র্কে পুলিশের দায়িত্ব পালন কালে অস্ত্রধারীর গুলিতে কুলাউড়ার দিদার নিহত।  কুলাউড়ায় সন্ধ্যা রাতে ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগ ছিনতাই। ভিডিও ফুটেজ অবৈধ অনুপ্রবেশ- বড়লেখা সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কুলাউড়াবাসী। আত্মসম্মান নিয়ে বেচে থাকাই দায়। কুলাউড়া বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শওকতুল ইসলাম শকু ও জয়নাল আবেদীন বাচ্চু কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে ত্রিমুখী লড়াই

চাপা পড়ে আছে জলসুখার জমিদার গঙ্গারামের ইতিহাস

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার।। সিলেট 

হবিগঞ্জ জলসুখা জমিদার বাড়ির তথ্য খুঁজতে গেলে ইতিহাসে জলসুখার প্রথম জমিদার হিসেবে সর্বাগ্রে বেরিয়ে আসে গঙ্গারাম দাস চৌধুরীর নাম। তবে বর্তমান সময়ে সংবাদ উপস্থাপনায় বাদ পড়ছেন তিনি! বাদ পড়ছে তাঁর প্রপৌত্র রামনারায়নের মুসলমান শাখার বংশধররাও। দেশের পরিচিত কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে এমনটাই দেখা গেছে! জলসুখা জমিদার বাড়ির ইতিহাস বলতে পাঠকদের সামনে উপস্হাপন করা হচ্ছে শুধু চৌদ্দ জমিদারের কথা, তুলে ধরা হয় বাবু গিরিশ রায়ের জমিদারিত্ব। কিন্তু এর মাঝে অনুল্লেখ থাকছেন চারশো বছরের প্রাচীন জমিদার গঙ্গারাম দাস চৌধুরী। যিনি ভারতের দিল্লিশহর থেকে বর্তমান পরিচিত হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের জলসুখায় স্বপরিবারে এসেছিলেন বসবাসের উদ্দেশ্যে। জলসুখার খাছারিঘাটের খাছারি এটি মুলত গঙ্গারামের আমল থেকেই ছিলো যা অনেক আগ থেকেই বিলুপ্ত।

তথ্য রয়েছে গঙ্গারামদাসের পুত্র ছিলেন গঙ্গানারায়ন তার পুত্র রামনারায়ণ দাস চৌধুরী তিনি জমিদারিত্বের দাপট খাটানো কোনো একটি ঘটনার প্রতি ঘৃণাপোষণ করে নিজের জাত বদলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। মুসলমানিত্ব হাসিল করে নাম ধারণ করেন রহমত উল্লা চৌধুরী। জাত বদলের কারণে জমিদারিত্বের অর্ধাংশ নিয়ে ত্যাজ্যপুত্রের শিকার হন তিনি। গৃহালয় ছেড়ে পরবর্তীতে বসতিস্থাপন করেন বানিয়াচংয়ের শাখাইতি নামক গ্রামে, সেখানে তার মুসলমান শাখার জমিদারিত্বের ইতিহাস সূচিত হয়।

একসময় রহমত উল্লা চৌধুরীর প্রপৌত্রের পুত্র শরিয়ত উল্লাহ চৌধুরী জমিদারি সম্পত্তি ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৬০ টি মৌজার ১৭৪১একর জমি ওয়াক্ফ করে ১৯১৬ ইংরেজিতে গঠন করেন শরিয়ত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াক্ফ এস্টেট। যা বর্তমানেও সরকারি ওয়াক্ফ তালিকায় রয়েছে। এই এস্টেটের প্রথম মোতাওয়াল্লী ছিলেন শরীয়ত উল্লাহ নিজেই। তৎকালিন সময়ে খাজনা আদায়ের দায়িত্বে অবহেলা করায় নিযুক্তদের বাদ দিয়ে শরিয়ত উল্লার ভাতুস্পুত্র ও প্রপৌত্রগণ দায়িত্ব পালন করেছেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাস্টার আব্দুল মনাফ চৌধুরী। তিনি ১৯৪২ ইংরেজিতে পরলোকগমন করেন। তার ছেলে এই বংশের প্রথম ইসলামি শিক্ষিত পাকিস্তান আমলের প্রবিন আলেম মরহুম মাওঃ আশরাফ মিয়া চৌধুরী ও ভাতুস্পুত্র মরহুম আফতাব উদ্দিন চৌধুরীর ডায়েরি সহ বিভিন্ন দলিলাদির মাধ্যমে ওঠে আসে গঙ্গারাম সম্পর্কে এসব তথ্য।

রামনারায়ন (রহমতুল্লাহ চৌধুরীর) হিন্দু শাখার বংশধর এখনো ভারতে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়ত উল্লাহ চৌধুরী এস্টেটের মোতাওয়াল্লী এমদাদ হোসেন চৌধুরী। মুসলমান শাখার বংশধরদের অনেকই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিহাস তথ্য ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় হিন্দু জমিদারদের মধ্যে দাস ও রায় পরিবার এবং মুসলমান এক পরিবার মিলে এই তিন জমিদার পরিবারের রামরাজত্ব ছিলো জলসুখায়।

জলসুখা জমিদার বাড়ি নিয়ে স্হানীয় আলহাজ তাসদিকুল ইসলাম জানান এই গ্রামে ভারতের বংশ ছাড়াও পাকিস্তান ইরানের বংশবনিয়াদের আবির্ভাব হয়েছিলো। তিনি বলেন জনস্রোতিতে আছে একমাত্র মুসলমান জমিদার রমজান আলী ওরুফে বুছামিয়া তিনি রাজা গবিন্দ খা এর বংশ থেকে জাত বদলে মুসলমান হয়ে এখানে এসে বসতিস্হাপন করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। যারদরুন মুসলমান জমিদার পরিবার ছিলো খুব শক্তিশালী। সরেজমিন দেখা যায় জলসুখা জমিদার বাড়ির আজকের অবস্হা খুবই নাজেহাল। ভবন গুলোর ধ্বংসাবশেষ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। এর মধ্যে কোনোরকম বনের ঝোপের ভেতর লুকিয়ে আছে বাবু গিরিশ রায়ের একটি ভবন, ময়লার স্তুপে ফেলে রাখা হয়েছে তিনশত বছরের পুরোনো লোহার সিন্দুক। বাড়ির সামনে বিশাল আকারে চৌদ্দ কেয়ার জমির পুকুর এখন ময়লার ভাগার। একমাত্র বাবু গিরিশ রায়ের বাড়িটি ব্যতিত বাকি গুলো দখলে নিয়েছে সুবিধাভোগীরা।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!