1. kulauradorpon@gmail.com : কুলাউড়ার দর্পণ : কুলাউড়ার দর্পণ
  2. info@www.kulaurardarpan.com : কুলাউড়ার দর্পণ :
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ার ইউএনও মহিউদ্দিনের কর্মদক্ষতায় বদলে যাচ্ছে প্রশাসন হামাগুড়ি দিয়ে কলেজে যেতেন মনা, এখন অর্থাভাবে স্নাতকে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা কুলাউড়ায় পল্টন হত্যা দিবস উপলক্ষে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত সিলেটের সন্তান এম.এ.জি. ওসমানী: মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতির অহংকার কুলাউড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা — পিকআপ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক কুলাউড়া থানা পুলিশের বিশেষ অ’ভিযানে ৬২ পিস ই’য়াবা ট্যা’বলেটসহ গ্রে’ফতার – ১ মৌলভীবাজার ০২ ( কুলাউড়া) আসনে আ’লীগের ভোট ব্যাংক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে জামায়াতের জোর তৎপরতা তারেক রহমানের ফোনকলে নির্বাচনের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেলেন যারা আসুন সকলে মিলে নতুন কুলাউড়া গড়ে তুলি কুলাউড়ার বাদে মনসুরে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

থানায় গাড়ি নেই’ তাই ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ, বড়লেখায় পুশইন ১০ জনকে ছেড়ে দিল জনতা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

বড়লেখা প্রতিনিধি । কুলাউড়ার দর্পণ:

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। স্থানীয়রা অনুপ্রবেশকারীরা আটক করে থানা পুলিশকে অবহিত করলে ‘থানায় গাড়ি নেই’ জানিয়ে বাঙালি হলে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয় এলাকাবাসী। এ-ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল সাতটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের চন্ডিনগর এলাকায় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করেন।

অভিযোগ উঠেছে, আটকের পর স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বড়লেখা থানায় জানালেও পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। উল্টো থানার ডিউটি অফিসার এএসআই দুলাল সরকার যাচাই-বাছাই করে তাদের বাঙালি হলে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলে স্থানীয় লোকজন তাদের ছেড়ে দেন। তবে বিজিবি বলছে, আটকের পর স্থানীয় লোকজন বিষয়টি তাদের জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদের আটক বা যাচাই-বাছাই না করে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দায়িত্বে অবহেলা করে, তাহলে এ প্রবণতা কোনোভাবেই বন্ধ হবে না। ভবিষ্যতে এ কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের চন্ডিনগর এলাকার বাসিন্দা আজাদ বাহার জামালী নারী-শিশুসহ ১০ জনকে দেখে সন্দেহজনক মনে করে তিনি তাদের আটক করেন। পরে বিষয়টি তিনি মুঠোফোনে বড়লেখা থানা পুলিশকে জানান। এসময় জামালীর কাছ থেকে ফোন নিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় বাসিন্দা বড়লেখা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই দুলাল সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। দুলাল থানায় গাড়ি নেই জানিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসার কথা বলেন। নজরুল আটককৃতরা বাঙালি হলে ছেড়ে দেবেন কিনা জানতে চাইলে এএসআই দুলাল সরকার বাঙালি হলে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেন। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়রা জানান। আটককৃতদের বাড়ি নড়াইল জেলায়।

এবিষয়ে ৫২ ব্যাটালিয়ন (বিয়ানীবাজার)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক চৌধুরীর শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমরা যখন শুনেছি ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। যারা অনুপ্রেবশ করেছেন, তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। আটকের পর তাৎক্ষণিক বিজিবিকে জানালে তাদের আটক করা যেত। তারা কোন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি বিষয়টি শুনার পর বিজিবির স্পেশাল একটি টিমকে চন্ডিনগর এলাকায় পাঠিয়েছেন। আর কেউ ওই এলাকায় আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রেবশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে ৫২ ব্যাটালিয়ন (বিয়ানীবাজার)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক চৌধুরীর শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমরা যখন শুনেছি ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। যারা অনুপ্রেবশ করেছেন, তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। আটকের পর তাৎক্ষণিক বিজিবিকে জানালে তাদের আটক করা যেত। তারা কোন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি বিষয়টি শুনার পর বিজিবির স্পেশাল একটি টিমকে চন্ডিনগর এলাকায় পাঠিয়েছেন। আর কেউ ওই এলাকায় আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রেবশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই দুলাল সরকার কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি, তিনি বলেন ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।

বিএসএফের ঠেলে পাঠানো অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক না করার কারণ জানতে চাইলে বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা শুক্রবার বিকেলে বলেন, আমি অফিসিয়ালি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী বলেন, স্থানীয় লোকজন যখন ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদের আটক করে পুলিশকে অবহিত করে, তখন পুলিশের দায়িত্ব ছিল তাদের গ্রেপ্তার করা অথবা বিষয়টি বিজিবিকে জানানো। কিন্তু যাচাই-বাছাই ছাড়াই ডিউটি অফিসার দুলাল স্থানীয়দের ওই ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না। অনুপ্রবেশকারীরা আদৌ বাংলাদেশি কি-না, অথবা তারা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে দেশে প্রবেশ করেছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু তা না করে পুলিশ দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা দেখিয়েছেন, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট